জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন, রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দায়ীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত শক্ত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এছাড়া স¤প্রতি মিয়ানমারে বেশ কিছু বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে; যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। মিয়ানমারের রাখাইন এবং চিন প্রদেশে সা¤প্রতিক হতাহত নিয়ে সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বৈঠকে এসব কথা বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক এই হাইকমিশনার। তিনি বলেন, কিছু কিছু ঘটনায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্বিচারে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত অথবা আক্রমণ চালিয়েছে বলে মনে হয়; যা আরও যুদ্ধাপরাধ অথবা এমনকি মানবতার বিরুদ্ধেও অপরাধ হতে পারে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক এই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্যাটেলাইটে পাওয়া চিত্রে রাখাইনের উত্তরাঞ্চল স¤প্রতি পুড়িয়ে দেয়ার আলামত মিলেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই কর্মকাÐকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে স্বাধীন তদন্তের আহŸান জানিয়েছেন তিনি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের ‘গণহত্যা চলমান’ রয়েছে, এমন অভিযোগ এনে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া। আদালতের কাছে দাখিলকৃত এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় মিয়ানমার। যদিও এ প্রতিবেদনের বিস্তারিত কোনও কিছু প্রকাশ করা হয়নি। জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ‘গণহত্যার অভিপ্রায়ে’ রাখাইনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেন মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। তবে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, শরণার্থীরা নিজেদের ওপর নিপীড়নের ঘটনা অতিরঞ্জিত করে বলছেন। রয়টার্স, বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন