কাঠমিস্ত্রির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পিতা-মাতার নির্মম মৃত্যুর পর তাদের মেয়ে আহত কুলসুমও মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে কুলসুম মারা যায়। এই নিয়ে চারজন খুন হলেন। হত্যাকান্ডের পর কাঠমিস্ত্রি বাদলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও প্রকৃত কারণ এখনো উদঘাটিত হয়নি।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এলাকার কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া শিবপুরের দুলালপুর এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা নাজমা বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তারা কুমরাদী গ্রামের তাজুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া মাস পাঁচেক আগে নাজমা বেগমকে ভাড়াটে বাড়িতে রেখে চলে যায়। কিছুদিন পূর্বে নাজমা বেগম তার স্বামী বাদল মিয়াকে বাসায় নিয়ে আসে। গত রোববার ভোরে নাজমা বেগম ও বাদল মিয়ার ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাদল স্ত্রী নাজমা বেগম ও তার আগের সংসারের এক ছেলে সন্তানকে কুপিয়ে আহত করে। চিৎকার শুনে বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে কুলসুম বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে বাদল মিয়া। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাজমা ও মনোয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন