শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি সহানুভূতিশীল দেশ

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও তুরস্ক - ১

ডন | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

সংযুক্ত আরব আমিরাত-ইসরাইলের যখন চুক্তি ঘোষিত হ’ল, তখন মধ্যপ্রাচ্যের যে দু’টি দেশ সবচেয়ে সোচ্চারভাবে নিন্দা করেছিল, তারা তুরস্ক ও ইরান। ইরানের অবস্থান তার নীতির সাথে সমান্তরাল এবং দেশটির সাথে ইতোমধ্যে আরব রাষ্ট্রসমূহ এবং ইসরাইলের তীব্র বিরোধ রয়েছে। তবে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার সূ² বিশ্লেষণ প্রয়োজন। কারণ এটি একটি ক্রমবর্ধমান বিরোধ এবং তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রতিদ্ব›িদ্বতার সাথে সম্পর্কিত।

এটিকে একটি অস্বাভাবিক প্রতিদ্ব›িদ্বতা মনে হলেও ক্রমবর্ধমানভাবে এ প্রতিদ্ব›িদ্বতা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি এবং এর বাইরেও একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হয়ে উঠছে। তবে, এটি একেবারে কোনো সাম্প্রতিক ঘটনা নয় এবং উভয় দেশই এ অঞ্চলের আধিপত্যবাদের দর্শনে আবদ্ধ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে, মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্রের যে কোনও ইঙ্গিতই ঘৃণিত। তারা মনে করে, গণতন্ত্র প্রথমে মুসলিম ব্রাদারহুডকে ক্ষমতায় আনবে এবং এমনকি যদি তা নাও ঘটে, এটি উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের স্বৈরশাসনকে দুর্বল করে দেবে।

তুরস্ক প্রেসিডেন্ট এরদোগানের স্বৈরাচারী ধাঁচ এবং জাতীয়তাবাদী নীতি সত্তে¡ও একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে রয়ে গেছে এবং অন্তত আদর্শগতভাবে হলেও মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি কিছুটা সহানুভ‚তিশীল। আর তাই, ২০০০ সালে আমরা দেখেছি যে, আঙ্কারা মুসলিম ব্রাদারহুড এবং মিত্রদের স্বার্থের প্রতি আন্তরিকতা বজায় রেখেছিল যখন সংযুক্ত আরব আমিরাত মুসলিম আন্দোলনের সদস্য এবং সন্দেহভাজন সহানুভূতিশীলদের রাষ্ট্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পদ থেকে তাদের সরিয়ে দিতে শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছিল।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১১ সালের শেষদিকে এবং ২০১৪ সালেও মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে বড় ধরনের নির্মূল অভিযান চালায় এবং তাদেরকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা করে। কারণ ব্রাদারহুডের আন্দোলন আরব বসন্তে পরিণত হওয়ার আগে উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলিকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল এবং তারা মুসলিম ব্রাদারহুডকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে নিয়েছিল। অন্যদিকে, তুরস্ক এটিকে ঐশ^রিক হিসাবে দেখেছিল এবং সে অনুযায়ী আন্দোলনকারীদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছিল। (চলবে)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Didarul Islam ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩১ এএম says : 0
একজন মুসলমানের উচিৎ তার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ইসলামী অনুশাসন নিয়ে আসা- দুরে সরিয়ে দেওয়া নয়।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ মোশাররফ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩১ এএম says : 0
ইসলাম কখনও উগ্রবাদী সমথন করে'না-------জোর করে কিছু আদায় করা মানে ঝলুম নির্যাতন। যার মানি ধংশ বয়ে আনে।
Total Reply(0)
মিঃ কায়সার ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩৪ এএম says : 0
কোন অমুসলিম দেশ কখনই কোন মুসলিম দেশের বন্ধু ছিল না এবং এখনও নেই। রাশিয়া আমেরিকা কিংবা চীন তাদের আধিপত্য ও ব্যাবসা বিস্তারের জন্য তুরস্ক-ইরানের ও সৌদি আরবের সাথে আপাত দৃষ্টিতে বন্ধুত্ব করছে মাত্র। আরবের মুর্খ প্রিন্স আমেরিকা-রাশিয়ার বলির পাঠা ছাড়া আর কিছুই নয়।
Total Reply(0)
Ashik Alfaz ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩৪ এএম says : 0
সুলতান সোলায়মানের উত্তরসূরী এরদোগান। ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হলেও আমেরিকার হুমকি ধামকির ধার ধারে না। প্রকৃত মুসলিম আল্লাহ বাদে কাউকে ডরায় না।
Total Reply(0)
কালামুর রহমান আমান ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩৫ এএম says : 0
যে যত অভিনয় করতে পারে সে-ই জনপ্রিয়। এটা এক ধরনের পাবলিককে ধোঁকা দেয়া।
Total Reply(0)
Md Tohidul Islam ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩৮ এএম says : 0
সেই দিন বেশি দূরে নয় , যেদিন কালো পতাকাবাহী একদল মুসলিম সেনা হিন্দুস্থান দখল করবে ,,,,হিন্দুস্থানের নেতাদের শিকল পরিয়ে টেন নিয়ে যাওয়া হবে! ঈমাম মাহাদির আগমন ঘটবে,,,,,, ইসরাইলের পতন হবে,,,,,, আল্লাহর কসম সেদিন যদি বেচে থাকি সে যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে ইসলামের পক্ষে যুদ্ধ করবো,,,,,,কালো পতাকার সৈনিক হব৷
Total Reply(1)
Md. Abdur Razzak ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:২৬ এএম says : 0
Amin
Mdmonir Mdmonir ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩৮ এএম says : 0
বর্তমান বিশ্বে মুসলমানের সবচেয়ে বড় দুশমন হলো আরব দেশের নারীলোভী ক্ষমতালোভী শাসকেরা
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন