শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

এবার নৈনিতাল, দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি নেপালের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:০১ পিএম

গত জুনেই ভারতের দখলকৃত তিন ভূখণ্ড নিজেদের বলে দাবি করেছিল নেপাল। সে ঘটনা নিয়ে উত্তেজনার রেশ না কাটতেই এবার ভারতের অধীনে থাকা উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল ও দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করল তারা।

গত জুন মাসেই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল নেপাল। ভারতের অধিকৃত উত্তরাখণ্ডের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ - তিনটি ভূখণ্ডকে নিজেদের দাবি করে নতুন মানচিত্র তৈরি করেছিল নেপালের কমিউনিস্ট সরকার। নেপালের সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ জাতীয় সভা’তেও পাশ হয়ে গিয়েছিল সেই মানচিত্র বিল। এবার উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল ও দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করল তারা। এরপরই ফের বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনিফায়েড নেপাল ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গ্রেটার নেপাল প্রচার শুরু করেছে। সেই প্রচারের অঙ্গ হিসেবে ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির আগে নেপালের ম্যাপকেই সামনে আনা হচ্ছে। ওই মানচিত্রে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এমনকী সিকিমের বড় বড় শহরকেও নিজেদের বলে দাবি করছে নেপাল। জোরকদমে এই প্রচারের অংশ হিসেবে ফেসবুক, ট্যুইটার ও ইউটিউব চ্যানেলে লাগাতার বক্তব্য রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে উত্তরাখণ্ডের যে তিনটি অঞ্চলকে নেপাল নিজেদের বলে দাবি করছিল, তার কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই দাবি করেছিল নয়াদিল্লি। পাশাপাশি ওই অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল। গত ৮ মে লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস মানস সরোবরে যাওয়ার নয়া ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর পরেই ভারত এবং নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। সঙ্গেসঙ্গেই এই রাস্তা উদ্বোধনের প্রতিবাদ জানায় কাঠমান্ডু। প্রতিবাদ হিসেবে নতুন মানচিত্র প্রকাশে উদ্যোগী হয় নেপাল। নতুন মানচিত্রে ভারত-নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়। এবার তাতে যোগ করা হল নৈনিতাল এবং দেরাদুনকেও।

পর্যবেক্ষক মহলের একটা বড় অংশই অবশ্য বলছেন, কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নেপালের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা উত্তোরত্তর বেড়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে শক্তিশালী ভারতের কাছ থেকে নিজেদের ভূমি উদ্ধারে ওলি সরকার এই সক্রিয়তা দেখানোর সাহস পেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র: টিওআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
এস আলম ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৪৮ পিএম says : 0
মুঘলদের ৬০০-৮০০ বছরের সমৃদ্ধ ভারতের ইতিহাস যদি গেরুয়া বাহিনী অস্বীকার করে, ঢাকঢোল পিটিয়ে মুঘলদের খলনায়ক বানাচ্ছে কী রাজনীতি কী বলিউড বা কী রাষ্ট্রযণ্ত্রে সেখানে ১৮১৬ সাল তো কালকের কথা! সাম্প্রদায়িক ভারত আরোও কত কী দেখবে?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন