শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চীনের বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য দুটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:২৮ পিএম, ৯ আগস্ট, ২০১৬

আইএসপিআর : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য চীনের উচাং শিপ ইয়ার্ডে নির্মিত হচ্ছে দুটি আধুনিক করভেট ক্লাস যুদ্ধজাহাজ। এ উপলক্ষে গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি নৌবাহিনীর জন্য নির্মিতব্য এই যুদ্ধজাহাজ দুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন (স্টিল কাটিং) করেন। এসময় চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশী দূতাবাসের ডিফে›স অ্যাটাশে নাসিম আক্তার, চায়না শিপ বিল্ডিং অ্যান্ড অফশোর কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ইয়াং ঝিগাং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও চীনের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নির্মাণাধীন আধুনিক যুদ্ধজাহাজ (করভেট) দুইটির প্রতিটি দৈর্ঘ্যে ৯০ মিটার ও প্রস্থে ১১ মিটার যার ওজন প্রায় এক হাজার ৩৫০ টন। জাহাজ দুটি ঘণ্টায় ২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম হবে। প্রতিটি জাহাজে থাকবে মেরিটাইম হেলিকপ্টার বহনের জন্য হেলিপ্যাড। তাছাড়া জাহাজ দুইটিতে আরও থাকবে শত্রু জাহাজ ধ্বংসকারী সারফেস টু সারফেস মিসাইল, শত্রু বিমান ধ্বংসকারী সারফেস টু এয়ার মিসাইল এবং ৭৬ মিলিমিটার ও ৩০ মিলিমিটার আধুনিক গান। আগামী ২০১৯ সাল নাগাদ যুদ্ধজাহাজ দুইটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়। যুদ্ধজাহাজ দুটি নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির ফলে বাংলাদেশের বর্ধিত সমুদ্রসীমায় সার্বক্ষণিক নজরদারী ও উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, চোরাচালান রোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি জাহাজ দুটি বাংলাদেশের জলসীমায় মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করবে।
যুদ্ধজাহাজ দুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে নৌবাহিনী প্রধান উচাং শিপ ইয়ার্ড সদর দফতর এবং চায়না শিপ ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি চায়না শিপ বিল্ডিং অ্যান্ড অফশোর কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মত-বিনিময় করেন। নৌপ্রধান আগামী ১২ আগস্ট দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন