ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্ট দিয়ে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। তার আগে নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে খেলোয়াড়দের দলবদল কার্যক্রম। আসন্ন মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা কমানো হয়েছে। গত মৌসুমে ৫ বিদেশি নিবন্ধীত হয়ে ৪ জন খেলতে পারলেও আসন্ন মৌসুমে একটি ক্লাব ৪ বিদেশিকে নিবন্ধন করাতে পারবে। মাঠে নামতে পারবেন ওই চারজনই। চার বিদেশির মধ্যে এশিয়ার একজন বাধ্যতামূলক। কোনো ক্লাব এশিয়ান কোটায় খেলোয়াড় নিবন্ধন না করালে তাদের একজন বিদেশি কম নিয়েই খেলতে হবে। এর আগে বিপিএলের বেশিরভাগ ক্লাব বিদেশি ছাড়া নতুন মৌসুম দাবি করলেও সমালোচনার মুখে তারা মত পাল্টিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পেশাদার লিগ কমিটির সভায় সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়। এদিন বিকেলে বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। এসময় ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপিএলের খেলা শেষ করতে হবে। এজন্য লিগ কমিটি এবার ভেন্যু সংখ্যাও কমাচ্ছে। এবার ঢাকা এবং এর কাছাকাছি জেলায় ভেন্যু থাকবে। এর সংখ্যা হতে ৩/৪টি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় এবার খেলা হবে এটা নিশ্চিত। তবে ভেন্যু চারটি হলে যোগ হবে গোপালগঞ্জ। এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত হবে।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে গত ফুটবল মৌসুম বাতিল হওয়ায় এবার খেলোয়াড়দের পুরোনো ক্লাবেই থাকতে হবে। তবে ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতায় কোনো খেলোয়াড় অন্য দলে যেতে পারবেন। খেলোয়াড়দের গত মৌসুমের বকেয়ার পুরোটাই দিতে রাজী হয়েছে ক্লাবগুলো। গত মৌসুমে ক্লাবের সঙ্গে খেলোয়াড়দের যে চুক্তি ছিল নতুন মৌসুমের পারিশ্রমিক হবে তার ২৫ শতাংশ।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় ফুটবলাররা পুরনো ক্লাবে থাকলেও বিদেশির বেলায় এ নিয়ম নেই। তারা উম্মুক্ত। বিদেশিদের নিবন্ধনের সময়ও কিছুদিন বেশি দেয়া হবে। দলবদলের জন্য স্থানীয়দের ৩ সপ্তাহ সময় দেয়া হলেও বিদেশিরা পাবেন ৪ সপ্তাহ সময়। ফেডারেশন কাপ মাঠে গড়ানোর ১০/১৫ দিন আগে খেলোয়াড় দলবদল কার্যক্রম শেষ হবে। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে ট্রান্সফার উইনডো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন