বগুড়ার আদমদীঘিতে চলতি রোপা আমন ধান ক্ষেতে মাজরা, পামড়ি পোকার আক্রমণ ও পচামিনা এবং পাতা মরা রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষক দিশেহারা। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে একাধিকবার কীটনাশক প্রযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছে না। ফলে ধানের ফলন নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন তারা ।
চলতি রোপা আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১১ হাজার ১শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় হলেও তা ছাড়িয়ে ১২ হাজার ৩শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। এবার অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের রক্তদহ বিল এলাকা কদমা, করজবাড়ী, কাশিমালা, দমদমা, সান্দিড়া, ছাতনী, প্রন্নাথপুর, দুরিয়াপুর এলাকায় নীচু জমিতে দীর্ঘসময় ধরে পানি জমে থাকায় চারা রোপন করা হয় দেরিতে। ফল ওই জমিতে পোকামাকড় ও রোগবালা ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও উপজেলা সদর, চাপাপুর,কুন্দুগ্রাম, নশরৎপুর ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নও সান্তাহার পৌর এলাকার মাঠের ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণসহ রোগবালাই দেখা দিয়েছে। এবার ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পোকার আক্রমণ ও রোগবালাই দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। পোকার আক্রমণও রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে নামীদামি ঔষধ প্রযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছে না স্থানীয় কৃষক। ফলে ফলনে বিপর্যয় হতে পারে বলে কৃষকদের মাঝে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবার অতিরিক্ত বৃষ্টি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে ধানের চারা সঙ্কটের সৃষ্টি হয় এবং চড়া দাম দিয়ে চারা ক্রয় করে জমিতে রোপন করার পর থেকে পোকার আক্রমণ ও রোগবালাই দেখা দিয়েছে। পোকামাকড়ের দমন ঠেকাতে নামিদামি ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, ধান ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ এবং রোগবালাই ঠেকাতে এলাকার মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে সভা করা হচ্ছে এবং পোকা ও রোগবালা নির্ণয় করে জমিতে ঔষধ প্রয়োগ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পোকার আক্রমণে উৎপাদন ব্যাহত হবে না বলেও তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন