বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মাতৃমৃত্যু অপেক্ষা সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার বেশি

অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:১৯ পিএম

সাপের কামড়ে দেশে প্রতিবছর আক্রান্ত হচ্ছেন ৭ লাখ মানুষ। আর এতে প্রতিদিন অন্তত ১৬ থেকে ২০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে, বছর শেষে মৃত্যুর সংখ্যা ৬-৭ হাজারে গিয়ে ঠেকছে। বর্ষাকালে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু ঘটে। গ্রামাঞ্চলে অ্যান্টিভেনম না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে মানুষজন বাধ্য হয়ে ওঝার শরণাপন্ন হচ্ছে। এতে মৃত্যুর ঘটনা আরও বাড়ছে। তাই দেশে মাতৃমৃত্যু অপেক্ষা সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার বেশি।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নানা আয়োজনে তৃতীয় আন্তর্জাতিক সর্প দংশন সচেতনতা দিবস পালন করা হয়েছে। এবাবের প্রতিপাদ্য ‘চিকিৎসা আছে সর্প দংশনে সরকারি হাসপাতালে, সবখানে।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪র্থ এইচপিএনএসপি’র আওতায় বাস্তবায়নাধীন নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এ বি এম খুরশিদ আলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বারদান জুং রানা। আলোচক হিসেবে ছিলেন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর এম এ ফয়েজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রফেসর অনিরুদ্ধ ঘোষ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. রোবেদ আমিন, সংক্রামক ব্যাধী হাসপাতালের কনস্যালট্যান্ট ডা. আরিফুল বাশার শিমুল।

সভায় সর্প দংশন প্রতিরোধে করণীয় হিসেবে বাড়ির আশপাশের জঙ্গল পরিষ্কার রাখা, ঘুমানোর সময় অবশ্যই ভালো করে মশারি টাঙানো, রাতে বা অন্ধকারে হাঁটার সময় অবশ্যই টর্চ ব্যবহার করা, সাপে কাটলে রোগী ক্ষতস্থানটি সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা এবং সাপে কাটলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

সভার শুরুতে নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর ডা. হাবিবুর রহমান কর্মসূচীর লক্ষ্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি সকল হাসপাতালে প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী সাপের বিষের প্রতিষেধক সরবরাহ করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

প্রফেসর ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম বিভিন্ন সাপ শনাক্ত করন ও যথাযথ চিকিৎসার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সর্প দংশন চিকিৎসায় প্রশংসনীয় ভুমিকা পালনের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শৈলকূপা, ঝিনাইদহ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাটহাজারীকে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন