বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি এবং বিরল চাল উৎপাদন হয় সউদীতে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৪ পিএম

মরুভূমির দেশ সউদী আরব। যে দেশে পানি এবং বৃষ্টির খুবই অভাব। যে দেশে উদ্ভিদ জন্মানোই কষ্টসাধ্য, সেখানে এখন উৎপাদিত হচ্ছে ধান। সউদী আরবের পূর্বাঞ্চল আল আহসা হাসাভি নামের লাল চালের জন্য পরিচিত। এই ধান চাষ বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল।
সম্প্রতি আল আহসা অঞ্চলের কৃষকদের ধান কাটার কয়েকটি ছবি সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরায় বিষয়টি বিশ্ববাসীর নজরে আসে এবং প্রসংশিত হন সউদীকৃষকরা।
রিয়াদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া উর্দু নিউজের এক প্রতিবেদনে আল আহসা গ্রামের কৃষকদের ধান কাটার ছবি পোস্ট করে বলা হয়, এইসব ছবি পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের নজর কেড়েছে। সউদী আরবের এই গ্রামে ধান উৎপাদনের সময় চলছে এখন।
অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও মূল্যবান এ ধানের শীষ এখন আল আহসার কৃষকদের মনে আনন্দের জোয়ার এনে দিচ্ছে। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে চলে যাচ্ছেন কৃষকেরা এবং কাজ করেন সন্ধ্যা পর্যন্ত।
আল-আরবিয়া ডটকমের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আল-আহসার লাল চাল বিশ্বের সর্বাধিক বিখ্যাত এবং দামি চাল হিসাবে পরিচিতি। বিশেষ ওই ধানের চাল দিয়ে অত্যন্ত সুস্বাদু ও মজাদার খাবার তৈরি হয়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আল-আহসা নামক এই গ্রামটিতে বহু শতাব্দী পূর্ব থেকেই এই ধানের চাষ হচ্ছে।
সৌদি সংবাদসংস্থাগুলোর সূত্রে জানা যায়, আল-আহসায় উৎপাদিত এ চালের প্রতি কেজির মূল্য ২৫ রিয়ালেরও বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য দাঁড়ায় ৫৭০ টাকার কম-বেশি! সউদী আরবরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ চাল বাজারজাত করা হয়।
বিশ্বের বিরল এই লাল চালের ধানের জাত পানির অভাবের কারণে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। পুরোপুরি পানিতে এই ধানের চারা রোপন করতে হয়। সপ্তাহে পাঁচদিনে হাসাভি ধানের গাছে পানি দিতে হয়। এটি রোপণ করার সময় প্রচুর পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয়। যদিও এর শেকড় দীর্ঘ সময় পানি ধরে রাখতে পারে।
শর্করা, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই লাল চাল পুষ্টিগুণে ভরা। বাত এবং হাড়ের অসুস্থতা নিরাময়ে এটি কার্যকরী হাসাভী ধান এমন একটি ফসল যা গরম অঞ্চলে জন্মে। কারণ এটি চাষে সর্বোচ্চ ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। তাপমাত্রা কম হলে এটি বৃদ্ধিতে বাধা পায় এবং সম্পূর্ণ বেড়ে উঠতে পারে না।
সৌদি কৃষক আব্দুল হাদি আল সালমান বলেন, আমরা এই চাল উৎপাদন করি। নিজেরা খাই এবং অন্যদের খাওয়াই। কিছু বিক্রিও করি। এগুলো আমাদের কাছে স্বর্ণের মতো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Bangladesh ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৪২ পিএম says : 0
It's high quality original "Golden Sella" rice, found it only in Pakistan and Afghanistan. India already built this rice project and exporting to some countries in middle Asia.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন