বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মুরাদনগরে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও চালক লাপাত্তা

২ দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ, উদ্ধার হয়নি টাকা

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:২৫ পিএম

কুমিল্লার মুরাদনগরে অস্ত্র ঠেকিয়ে দিন-দুপুরে আল-আরাফাহ ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকিং’র ৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত দুই দিনেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি টাকা। এমনকি ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও চালকের হদিস পাচ্ছে না পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতে উক্ত ঘটনায় মামলা হলেও আতংক কমেনি উপজেলার অর্ধশতাধিক এজেন্ট ব্যাংকিং মালিকদের। গতকাল বুধবার ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের শাখা প্রধানরা টাকা পরিবহনে পুলিশী সহায়তা নেওয়ার জন্য এজেন্ট ব্যাংক মালিকদের চিঠি দিয়েছেন। 

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক দারোরা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ম্যানেজার ইবরাহিম খলিল বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করি। সেই টাকা নিয়ে সিএনজি যোগে আমার দারোরা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে আমি পদুয়া মোড় অতিক্রম করার সময় অপর দিকে থেকে আরেকটি সিএনজি আমার গাড়িটি গতিরোধ করে। তাৎক্ষনিক ওই সিএনজি থেকে ৪ যুবক বেরিয়ে আসেন। তাদের হাতে রামদা ও ধারালো ছুরি ছিল। একজন পাশে দাড়িয়ে থাকেন এবং অপর ৩জন আমার টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আমি টাকার ব্যাগটা টেনে ধরলে একজন রামদা দিয়ে আমাকে কুপ মারেন। কিন্তু আমি সরে গেলে কুপটি আমার গায়ে লাগেনি। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে তারা এসে ঘটনাস্থল ঘুরে যায়। ঘটনার দিন মঙ্গলবারই থানায় মামলা করি। কিন্তু এখনো আমার টাকার কোন হদিস পাইনি। ঘটনার সাথে জড়িত কেউ আটকও হয়নি। তবে ছিনতাইকারীদের বহনকৃত সিএনজি ও তার চালককে আটক করতে পারলে ঘটনার হদিস পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’

স্থানীয়রা বলেন, এলাকায় বেশ কয়েকজন ইয়াবাহ বিক্রেতা ও সেবনকারী রয়েছেন। তাদের ভয়ে মানুষ স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারে না। মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে পারলেই বিভিন্ন অপরাধ কমবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ম্যানেজার বলেন, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এ ঘটনায় আমরা রীতিমতো উদ্ধিগ্ন। কারণ এই উপজেলায় বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় অর্ধশতাধিক এজেন্ট ব্যাংকিং রয়েছে। তাই এজেন্ট ব্যাংকিং মালিকদের লিখিত ভাবে জানিয়েছি টাকা আনা-নেওয়ার সময় পুলিশী সহায়তা নেওয়ার জন্য।
মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) নাহিদ আহমেদ বলেন, টাকা উদ্ধার হয়নি। কেউ গ্রেফতার হয়নি। চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন