মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রটের আহ্বায়ক সৈয়দ আ: হান্নান আল হাদী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা ও মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল “বাংলাদেশের মূলনীতি হবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর বিশ্বাস, ইসলামের সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচার” বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে ও সৃষ্টির সময় কোনো পর্যায়ই উল্লেখিত মূলনীতির বাইরে কোনো কথা হয়নি। বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্র গ্রহণ করেননি বলেই বামপন্থিরা মুজিবনগর সরকারের সাথে শামিল না হয়ে আলাদাভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর ৭৫ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ সংযোজনের পর বামপন্থিরা আওয়ামী লীগের সাথে গাঁটছড়া বাঁধে। অপরদিকে, দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী আমেরিকা তাদের এদেশীয় এজেন্ট জামায়াতের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ইসলামবিরোধী বানায়। পরবর্তীতে আমেরিকা তাদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ক্যু করে ক্ষমতা দখল করেছিল। হত্যাকারীরা জামায়াতের নিলনকশা অনুযায়ী ফ্রিডম পার্টি গঠন করে। ৯১ সালে জিয়াউর রহমানের তৈরি দল বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় গিয়ে রাজনীতি থেকে ইসলাম পরিত্যাগ করে। তারেক রহমান লন্ডনে বসে ঘোষণা দেয়, ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রাজনীতি হবে না।
অথচ বঙ্গবন্ধু ৭০ সালে নির্বাচনের আগে রেডিও টেলিভিশনে ঘোষণায় বলেছিলেন “আমরা ইসলামের ন্যায় বিচারে বিশ্বাসী, রাসূল (সা.) এর ইসলাম সেই ন্যায় ও সুবিচারের শিক্ষাই দেয়। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় গিয়ে বলেছিলেন, সবাই পায় তেলের খনি, সোনার খনি, আর আমি পাইছি চোরের খনি। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করা এবং ঘুষ-দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘুষ-দুর্নীতি ও ইসলাম বিরোধিতার রাজনীতি ছাড়তে হবে। অন্যথায় মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের জনগণকে পশ্চিমাদের চক্রান্তের শিকার হয়ে দেশ, ধর্ম হারিয়ে সাগরে ডুবতে হবে। অথবা ভিক্ষুক হয়ে বাকী জীবন রাস্তায় কাটাতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন