নিত্যদিনের আবহাওয়া খবরের মতোই করোনা খবরও প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে। সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২৪ জন ও নারী ১৩ জন। হাসপাতালে ৩৫ জন, বাড়িতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৪৪ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৬৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ জনে। করোনা শনাক্তে ১০২টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ হয়।
পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ১৫০টি। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৬৬ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৫৩ হাজার ৯৫৩ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৫৭টি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৩ দশমিক ৭৯। মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪২ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৮৭৩ জন (৭৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ১০৬ জন (২২ দশমিক ২১ শতাংশ)। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৭ জনের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী একজন, বিশোর্ধ্ব দুজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২০ জন। বিভাগ অনুযায়ী, মৃত ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৬ জন, চট্টগ্রামে ৯ জন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় একজন, বরিশাল একজন ও রংপুরে দুজন রয়েছেন। বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যু ঘটে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। তবে মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থান। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৭১ হাজারের ঘরে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন