পাটকল শ্রমিক নির্দোষ জাহালমের ক্ষতিপূরণ মামলার রায় ২৯ সেপ্টেম্বর। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি একেএম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি প্রথমেই রয়েছে। ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ‘ভুল আসামি’ হিসেবে কারাভোগকারী জাহালমের পক্ষে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলাটির শুনানি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
এরআগে জাহালমকে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করা হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমান রাখেন।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না...’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট অমিত দাশ গুপ্ত। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের হাজিরার পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চাওয়া হয়। সেই আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করে। পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফআইআর, চার্জশিট,সম্পূরক চার্জশিট ও সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট গত ১৭ এপ্রিল জাহালম কান্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চান। পরে এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের পতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
প্রসঙ্গত: আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন এই জাহালম। তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ২৬টি মামলা হয়। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন জাহালম। যিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। যে ঘটনার তদন্ত করে দুদক বলছে, জাহালম নিরপরাধ। একই মত দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।
#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন