দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছে সিউল। গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) উত্তরের সীমানা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় ওই কর্মকর্তা একটি টহল নৌকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তবে ৪৭ বছর বয়সী ওই মৎস্য কর্মকর্তা কী করে উত্তরের জলসীমায় গেলেন, তা দক্ষিণের সেনাবাহিনী ব্যাখ্যা দেয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা জেনারেল আন ইয়ং-হো এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বলেন, এটা পাশবিক, আমরা এ ঘটনার নিন্দা করছি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত ওই কর্মকর্তা মৎস বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে টহলদারি নৌকায় ছিলেন।
গত সোমবার তিনি নিখোঁজ হন। ৪৭ বছর বয়সী ওই কর্মকর্তা দুই সন্তানের জনক। তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার টহলদারি একটি নৌকা তাদের জলসীমায় ওই কর্মকর্তাকে আবিষ্কার করেন।
তবে এ বিষয়ে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সীমান্তে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছে উত্তর কোরিয়া।
অন্য কোনো দেশ থেকে আগতদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস যেন কোনো ভাবেই ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে কেউ অন্য দেশ থেকে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করলেই তাকে মরতে হবে।
এ নিয়ে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ার এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছিল উত্তর কোরিয়ার সেনারা। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার এক পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছিল উত্তর কোরিয়ার এক সেনা সদস্য। সূত্র : রয়টার্স ও বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন