প্রশ্ন : আল্লাহর কালাম খচিত লকেট আমার বাচ্চার গলায় দিয়েছি। এটি আমাকে মানসিকভাবে নিশ্চিন্ত থাকতে সাহায্য করে। তাবিজ পরাতে চাই না, আপনার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাই।
উত্তর : আল্লাহর কালাম খচিত না আল্লাহর নাম খচিত এ বিষয়টি প্রশ্নে পরিষ্কার নয়। তবে লকেটে খোলামেলা আল্লাহর নাম বা কালাম লিখে ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, শিশু অনেক সময় পাক নাপাকি বোঝে না। বড়রাও এসব ব্যবহার করার সময় নাপাক হতে পারে। বাথরুমে আসা যাওয়া করে। এতে আল্লাহর নাম বা কালামের মর্যাদাহানি ঘটে। তাই, খোলা লকেটে আল্লাহর নাম বা কালাম লেখা থাকলে তা ব্যবহার না করাই উত্তম। কাগজে বন্ধ ও তাবিজে হেফাজত করা নাম বা কালাম ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনো অনৈসলামিক বিষয় বা লেখা তাবিজ আকারে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মনে রাখবেন, নিজের ও শিশুর নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে সুন্নত অনুযায়ী দোয়া কালাম পাঠ করাই যথেষ্ট। আলাদা লকেট বা তাবিজ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না।
প্রশ্ন : নেশা গ্রহণকারী প্রতিবেশী আমার কাছ থেকে প্রায়ই কর্জ নেয়। মাঝে মধ্যে ফেরত দেয়, কখনো দেয় না। মানবিকতার দিক বিবেচনা করে তবুও আমি টাকা দেই। আমার কি গুনাহ হবে?
উত্তর : আপনার গুনাহ হবে না। কারণ, আপনার জানা নেই যে, সে ব্যক্তি নেশার জন্যই এ টাকা নেয়, না অন্য কোনো প্রয়োজনে। কখনো দেয় আবার কখনো দেয় না, এরপরও আপনি মানবিক কারণে তাকে টাকা দেন। এতে তো আপনার সওয়াব হওয়ার কথা। কর্জ দেয়ার সওয়াব দানের চেয়েও বেশি। তা ছাড়া, যে কর্জ পাওয়া যাবে না যাবে না জানা নেই, তবুও মানুষ মানবিক কারণে তা দেয়; এর নামই কর্জে হাসানাহ। তবে আপনার যদি নিশ্চিতরূপে জানা থাকে যে, লোকটি নেশা করার জন্যই এ টাকা নিচ্ছে, তাহলে তার চিকিৎসা ও সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া ছাড়া নিঃশর্তভাবে কর্জ দিতে থাকলে তখন আপনার গুনাহ হবে। কারণ, এটি অন্যায় কাজে সহায়তা করার শামিল। যা শরিয়তে নিষিদ্ধ। একজন মানুষ ভুল করে করে ধ্বংসের দিকে চলে যাবে, তাকে আরো সাহায্য করা মানবিক হতে পারে না। চিন্তা করলে বরং এ সহায়তাই অমানবিক কাজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন