মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

এক রোহিতেই কাঁবু কলকাতা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি বিশাল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং আক্রমণটাও দারুণ। টুর্নামেন্টের শুরুর উইকেট তাই বেশ প্রাণবন্তও। এই মাঠে বড় রান করা একটু কঠিনই। কিন্তু রোহিত শর্মার মতো বিশ্বমাপের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দিনে সব সমীকরণ বিরুদ্ধে যেতে পারেন। পরশু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও কলকাতার ম্যাচে আগে ব্যাট করা মুম্বাইকে ৫ উইকেটে ১৯৫ রান করতে সাহায্য করেছে অধিনায়ক রোহিতই। সেই রানটা তাড়া করতে গিয়ে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানে করে কলকাতা।

গতবারের চ্যাম্পিয়নরা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে এই মাঠেই ১৬২ রান করে হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। প্রথম দিনের ভুলটা এদিন করেনি মুম্বাই। এই উইকেটে টপ অর্ডারে একজন টিকে গেলে তাঁকে লম্বা ইনিংস খেলতেই হয়। পরশু রোহিতই সেই দায়িত্বটা নিলেন। শুরুতে সময় নিয়েছেন। পরে পুষিয়ে দিয়েছেন ৬টি ছক্কা ও ৩টি চারে সাজানো ৫৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস দিয়ে। আরব আমিরাতের বড় বাউন্ডারির মাঠ এই মাঠে আইপিএলের শুরু থেকেই ছক্কার সংখ্যা তুলনামুলকভাবে কম। কিন্তু এদিন বিশাল বাউন্ডারি পাত্তা দেননি রোহিত। সহজেই পার করেছেন ৬ বার।

রোহিতকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সূর্য কুমার যাদব। রান আউট হওয়ার আগে তিনিও খেলছিলেন দারুণ। ২৮ বলে ৪৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এই দুই ডানহাতির ভিত ব্যবহার করে মুম্বাই করে ৫ উইকেটে ১৯৫ রানের পাহাড়।

বিশাল রান তাড়া করে গিয়ে কেমন জানি এলোমেলো মনে হয়েছে কলকাতাকে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ বলেই হয়তো এত জড়তা। দুই ওপেনার শুভমান গিল ও সুনীল নারাইন সাধারণত দ্রুত রান তোলায় অভ্যস্ত। পরশু দুজনই খেলেছেন ১০০-র নিচে স্ট্রাইক রেট নিয়ে। আউট হয়েছেন বল খরচা করে। দুজনের সামনে চ্যালেঞ্জটাও সহজ ছিল না। জেমস প্যাটিনসন, ট্রেন্ট বোল্ট নতুন বলটা ব্যবহার করতে জানেন।

ওপেনারের কাছ থেকে দ্রুত রান পেতে অভ্যস্ত কলকাতা দীনেশ কার্তিক ও নিতীশ রানায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল। এই দুজনের পরেই আসবেন এউইন মরগান ও আন্দ্রে রাসেল। ভিত গড়তে পারলে এই দুই বিদেশি যে কোনো লক্ষ্য তাড়া করতে পারবে। এই ভাবনা থেকেই হয়তো কিছুটা মন্থর ব্যাটিং করেছেন কার্তিকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুম্বাইয়ের মাঝের ওভারের বোলিংয়ে টিকতে পারেননি কেউই। প্যাটিনসন, বোল্ট দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। রাহুল চাহার ও পোলার্ডও হাত ঘুরিয়ে পেয়েছেন দুই উইকেট। ব্যাটিংয়ে রোহিতের পর বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্স মুম্বাই জয় পায় ৪৯ রানের।

মুম্বাইয়ের কৃতিত্বের চাইতে কলকাতা বোলারদেরই ম্যাচ শেষে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কথা। কেননা আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি বিদেশি খেলোয়াড়টিই আছে শাহরুখ খানের দলে। গত নিলামে হইচই ফেলে প্যাট কামিন্সকে সাড়ে ১৫ কোটি ভারতীয় রুপিতে দলে নিয়েছিল কেকেআর। তার কাছে প্রত্যাশাও ছিল বেশি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে নেমে বেদম মার খেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার। ৩ ওভারেই দিয়ে ফেলেছেন ৪৯ রান।

ম্যাচ শেষে দুর্বল শরীরী ভাষা, এলোমেলো বল করা কামিন্সকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেকেআর অধিনায়ককে। দিনেশ কার্তিক জানান, ম্যাচের মাত্র কয়েকঘন্টা আগে কোয়ারেন্টিন মুক্ত হয়েছিলেন কামিন্স। তাই এখনি তার কড়া সমালোচনা বড় কঠোর হয়ে যায়, ‘কেবল এক ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে প্যাট কামিন্সের মতো বোলারকে বিচার করা খুব অন্যায়। ও বেচারা মাত্র কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করেছে। দুপুর ৩.৩৪ মিনিট সে এই খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল।’ বাকি আসরেও দামি এই পেসারের উপর শতভাগ ভরসা রাখতে চায় নাইটরা, ‘ওর মতো পেসারকে দলে পেয়ে আমরা খুশি। কামিন্স বিশ্বমানের বোলার। বিশ্বের অন্যতম সেরা ও। ও দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার উপর আমার ও দলের পুরো আস্থা আছে। অবশ্যই সে ঘুরে দাঁড়াবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন