জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে এ আহবান জানান। আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) বৈশ্বিক পর্যায়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ‘ফ্রাই ডেজ ফর ফিউচার’র ‘বৈশ্বিক ক্লাইমেট অ্যাকশন দিবস’ পালনের আহবান জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ঝুঁকি বাড়ার প্রেক্ষিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রশমনে প্রাক-শিল্পায়ন যুগের তুলনায় তাপমাত্রা কমপক্ষে ২ ডিগ্রি ও ক্রমান্বয়ে তা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত হয়েছিল, তা উপেক্ষার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান কোভিড-১৯ সংকটের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নামে শিল্পোন্নত দেশসমূহের উদ্যোগে গ্রিন রিকভারির প্রস্তাব করা হলেও প্রধান কার্বন-নিঃসরণকারী যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ এ ব্যাপারে উল্টো অবস্থান গ্রহণ করায় বৈশ্বিক গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের ঝুঁকি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের জন্য প্যারিস চুক্তিতে ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর বছর ১শ’ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে সামান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কোভিড-১৯ উদ্ভুত সংকটের পাশাপাশি উপর্যুপরি বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে অভিযোজন এবং প্রশমন বাবদ প্রাপ্য অনুদান প্রদানে শিল্পোন্নত দেশসমূহকে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য পথ-নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে এবং সেক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে, বাংলাদেশের ও প্রতিশ্রুত প্রশমন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিবর্তে উল্টো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাবহারে অগ্রাধিকার প্রদানের মতো প্রকৃতি ও পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম গ্রহণ থেকে সরে আসারও আহবান জানায় টিআইবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন