গাছের সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মুক্তা নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যৌতুকের দাবিতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক স্বামী শেখ ফরিদ, শ্বশুর, শাশুড়ির এমন কান্ড করেছেন বলে জানা গেছে। নির্যাতনের পর গৃহবধূর মায়ের মোবাইল ফোনে মুক্তা মারা গেছে বলে জানান শ্বশুর জালাল আহম্মদ। মুক্তার মা ও তার পরিবারের লোকজন এসে তাকে বাড়ীর উঠানে গাছের সাথে শিকলে বাধা বৃষ্টিতে ভিজতে দেখতে পায়। পরে মুক্তাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার বাতুপাড়া গ্রামের জালাল আহম্মদের ছেলে শেখ ফরিদ পাশ্ববর্তী মৌকারা ইউনিয়নের মাঝি পাড়া গ্রামের মৃত আবুল খায়ের মেয়েকে ৬ বছর পূর্বে বিবাহ করেন। বিবাহের সময় মুক্তার মা ঋণ করে শেখ ফরিদকে এক লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করেন। এরপরও মুক্তার স্বামী বারবার যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। কিন্তু স্বামী হারা নুরুন নাহার মেয়ে জামাই ও তার পরিবারের চাহিদা মেটাতে না পারায় দীর্ঘদিন যাবৎ মুক্তাকে নির্যাতন করে আসছে। গত কিছুদিন পূর্বে সিজারিয়ান অপারেশনে মুক্তা সন্তান প্রসব করেন।
গত শুক্রবার তার অপারেশনের সেলাইয়ের স্থানে ব্যাথা অনুভব করলে স্বামী শেখ ফরিদকে ঔষধ এনে দিতে বলে। কিন্তু স্বামী ওই দিন ঔষধ নিয়ে না এসে উল্টো তাকে স্বামীর জামা কাপড় ধুয়ে দিতে বললে মুক্তা অপারগতা প্রকাশ করে। এনিয়ে সকালে স্বামী শেখ ফরিদ বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তাকে নির্যাতন শুরু করলে মুক্তা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে মুক্তাকে বাড়ীর উঠানে বৃষ্টির মাঝে গাছের সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে শ্বশুর শাশুড়ি’সহ মিলে নির্যাতন চালায়। নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন