সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণ ঘটনার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান গ্রেফতার হয়েছে । রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেফতার করা হেয় তাকে। ঘটনার পর থেকেই জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত ছিল বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। এর আগে এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী বধূর স্বামী।মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজু রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি সহ সবাই ছাত্রলীগ রাজনীতিতে সক্রিয়।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে। এঘটনার তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলাও দাঁয়ের করে শাহপরান থানা পুলিশ। জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে ক্যাম্পাসে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে গণধর্ষণ পাষন্ডরা। এদিকে সাইফুরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,, রোববার সকালে ছাতক খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাতক থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন