বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সেবা বঞ্চিত সাধারণ মানুষ

সৈয়দপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কর্মরত স্বাস্থ্য ও পরিবার সহকারীদের অনুপস্থিতি কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না গ্রামীণ জনগোষ্ঠী। দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকলেও, প্রতিদিন কাগজ-কলমে উপস্থিত রয়েছেন তারা। সরকারি ছুটি ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ক্লিনিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ক্লিনিক পরিচালনা করছেন দায়িত্বরত কর্মচারীরা। এতে রোগীরা কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। তারা বাধ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য ছুটছেন গ্রামের হাতুরে ডাক্তারদের কাছে।
সূত্র মতে, ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০০১ সালে জোট সরকারের আমলে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আরসিএইচসিআইবি শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পুনরায় উজ্জীবিত করা হয়। তখন সরকারি বেতনে তিন মাসের প্রশিক্ষণে প্রতি ক্লিনিকে তিনজন করে নিয়োগ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে বর্তমানে এর কার্যক্রম শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে রয়েছে মোট ১৪টি কমিউনিটি ক্লনিক। এর মধ্যে কামার পুকুরে ৩টি, বাঙালিপুরে ২টি, বোতলাগাড়িতে ৪টি খাতামধুপুরে ২টি, কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে ৩টি।
এ বিষয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, অধিকাংশগুলোতে হেলথ প্রোপাইটার (সিএইচসিপি) ও দায়িত্বরত চিকিৎসক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত বসেন না। কেউ সপ্তাহে একদিন, কেউ মাসে একদিন উপস্থিত হয়েই উত্তোলন করছেন পুরো মাসের বেতন। নিয়মিত ক্লিনিকে ওষুধ পৌঁছালেও, সেবা পাচ্ছে না জনসাধারণ। নিয়মানুযায়ী সপ্তাহে একদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমর্রত একজন মেডিকেল অফিসার ক্লিনিকে গিয়ে রোগীদের সেবা দেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অপরদিকে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য দেয়া ঔষধ বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে কারো কারো বিরুদ্ধে। কামারপুকুর ইউনিয়নের আলতাফ হোসেন নামের একজন অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রীর হঠাৎ করে পেট ব্যাথা শুরু হলে সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই, কিন্তু সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কোন স্বাস্থ্যকর্মী না আসায় বাধ্য হয়ে তাকে ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরকম অভিযোগ অরো অনেকরই। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলেমুল বাশার বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের দায়িত্বহীনতার বিষয়ে মনিটরিং চলছে। কারো বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার সঠিক প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন