মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

কলকাতার উড়ন্ত জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৯ এএম

গতি ও লাইন লেংথ- এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত এই দুই গুণের বোলাররা সফল। বিশেষ করে আবুধাবি ও দুবাইয়ের মাঠে খেলা হলে তো কথাই নেই। দিল্লি ক্যাপিটালসে যেমন কাগিসো রাবাদা ম্যাচের যে কোনো সময়ে ভালো করছেন। রাজস্থান রয়্যালসে জফরা আর্চার, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে মোহাম্মদ শামি ও শেলডন কটরেলও তাই।

মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিনসন ও যশপ্রীত বুমরার মতো তিন ফাস্ট বোলার আছেন। চেন্নাই সুপার কিংসে জস হ্যাজেলউড ও কলকাতা নাইট রাইডার্সে প্যাট কামিন্স। পরশু আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে আরেকবার একই ধাঁচ দেখা গেল। কলকাতার কামিন্সের দারুণ বোলিং হায়দরাবাদকে মাত্র ১৪২ রানে থামিয়ে রাখল। সেই রান কলকাতা তাড়া করে জিতেছে ১২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদে আবার ‘হিট দ্য ডেক হার্ড’ ধাঁচের পেসার নেই। ভুবনেশ্বর কুমার দলে থাকলেও আগের ছন্দে নেই। বেঞ্চে বসে আছেন অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলার বিলি স্ট্যানলেক। কিন্তু দলের সামঞ্জস্যের কারণে রাখা যাচ্ছে না তাঁকে। তবু হায়দরাবাদ ১৪২ রান করেও ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার দল না। বোলিং দিয়ে ম্যাচ জেতার একাধিক রেকর্ড আছে ডেভিড ওয়ার্নারদের। এদিন সেই তেজোদ্দীপ্ত বোলিং দেখা গেল না আইপিএলের বোলিং নির্ভর দলটির কাছ থেকে। বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে কলকাতার তিন উইকেট তুলে নেওয়ার পরও চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি ওয়ার্নারের দল। অথচ মাঝের ওভারে হায়দরাবাদের হয়ে বোলিং করেছেন রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী। রান রেটের কোনো চাপ না থাকায় এই দুই আফগান স্পিনারদের বিপক্ষে আগ্রাসী হয়েও খেলতে হয়নি কলকাতাকে। উইকেটে জমে যাওয়া কলকাতার ওপেনার শুভমান গিল ও অভিজ্ঞ এউইন মরগান এক-দুই রানের সঙ্গে বাউন্ডারি মিশিয়ে সহজেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় কলকাতা। শেষ পর্যন্ত দুই ওভার বাকি থাকতেই সহজ জয় পায় কলকাতা। ৬২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় গিল ছিলেন ৭০ রানে অপরাজিত। ২৯ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন মরগান। ৭ উইকেটের জয়ে প্রথম ম্যাচে মুম্বাইয়ের কাছে হারের পর ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন