মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি বিতর্কের অবসান বহু আগেই হয়ে গিয়েছে। নতুন করে বিতর্কিত ইস্যুকে জাগিয়ে তোলাটা অর্থহীন। শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি বিতর্ক নতুন করে মাথাচাড়া দিতেই প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাদুদ্দিন ওয়েইসি।
গত শনিবার মথুরার দেওয়ানি আদালতে শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমনের হয়ে মথুরার কৃষ্ণ মন্দির চত্বর থেকে শাহী ঈদগাহ সরানোর দাবিতে মামলা দায়ের করেছেন উত্তরপ্রদেশে বাসিন্দা রঞ্জন অগ্নিহোত্রী। এর ফলে ভারতের কোটি কোটি মুসলিমের সাথে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ওয়েইসিও। তার দাবি, ১৯৬৮ সালে এ সংক্রান্ত বিতর্কের সমাপ্তি হয়ে গিয়েছিল। শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘ ও শাহী ইদগাহ-র মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছিল তখনই। নতুন করে এ ইস্যু উত্থাপন করে কোনও লাভ নেই।
এক টুইটে তার প্রশ্ন, ‘উপাসনা আইন ১৯৯১ অনুযায়ী উপাসনাস্থানের পরিকাঠামোর রূপান্তর নিষিদ্ধ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আইন কার্যকর করার দায়িত্বে আছে। শাহী ইদগাহ ট্রাস্ট ও শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘ তাদের বিতর্কের সমাপ্তি ঘটিয়ে বোঝাপড়া করে নিয়েছিল ১৯৬৮ সালের অক্টোবরে। এখন এটাকে পুনরুত্থাপন করা হচ্ছে কেন’?
আটের দশকের শেষে রাম মন্দির আন্দোলনের সময় বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবারের একটি সেøাগান ছিল, ‘অযোধ্যা তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়।’ এতদিন পরে সেই সেøাগানের দাবি মেনেই যেন দায়ের করা হয়েছে নতুন মামলা। কেবল ১৩.৩৭ একর জমির পুনরুদ্ধারই নয়, সেই সঙ্গে শাহী ইদগাহ মসজিদকে সরানোর দাবিও করা হয়েছে। দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ‘এ জমির প্রতিটি ইঞ্চি শ্রীকৃষ্ণ এবং হিন্দু স¤প্রদায়ের ভক্তদের জন্য পবিত্র’। শ্রীকৃষ্ণ জন্মভ‚মির ১৩.৩৭ একর জমিই ফেরত পাবার দাবি জানানো হয়েছে দায়ের করা মামলায়।
মামলকারীর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও শাহী ঈদগাহর ম্যানেজমেন্ট ট্রাস্ট স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম বাসিন্দার মদতে অবৈধভাবে ওই জমি দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, নিজের অভিযোগে মামলাকারী দাবি করেছেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের উপরই মুসলিম ধর্মস্থলটি রয়েছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন