শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

এবার দিল্লিতেই কৃষক বিক্ষোভের আঁচ, রাজপথে জ্বলছে ট্রাক্টর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ পিএম

ভারতে চরম বিরোধিতার মধ্যেই গতকাল রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সরকারের আনা তিনটি কৃষি বিলে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। তারপরেই দেশজুড়ে কৃষকদের বিক্ষোভ আরও বেড়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ হলেও তার সবচাইতে বেশি প্রভাব পড়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। এবার আন্দোলন-বিক্ষোভ রাজধানী দিল্লিতেও পৌঁছে গেল। আজ সোমবার সকালে এক দল কৃষক ইন্ডিয়া গেটের সামনে একটি ট্রাক্টর জ্বালিয়ে দেন। পরে পুলিশ ও দমকল পৌঁছে আগুন নিভিয়ে সরিয়ে নেয় ট্রাক্টরটি।

দিল্লির পাশাপাশি পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে এখনও চলছে কৃষকদের প্রতিবাদ-আন্দোলন। পাঞ্জাবে অমৃতসর-দিল্লি রেললাইনের উপর অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। ‘কিসান মজদুর সংঘর্ষ কমিটি’র ব্যানারে বুধবার থেকে এই কর্মসূচি চলছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের নানা আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আন্দোলনকারী কৃষকদের টলানো যায়নি। রাষ্ট্রপতি তিনটি কৃষি বিলে সই করার পর পঞ্জাবে কৃষকদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন বিল’ এবং ‘কৃষক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন বিল’ পাশ ঘিরে গত ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় রাজ্যসভায়। ওয়েলে নেমে হট্টগোলের পাশাপাশি ডেপুটি চেয়ারম্যানের টেবিলের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ, মাইক্রোফোন ভেঙে দেওয়া, রুল বুক ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে বিরোধী সাংসদের বিরুদ্ধে। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সাসপেন্ড হয়ে সংসদের লনে ধর্নায় বসেন আট সাংসদ। অন্য দিকে রাজ্যসভা বয়কট করেন বিরোধীরা। তার পর বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় কৃষি সংক্রান্ত তৃতীয় বিল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (সংশোধনী) বিল’ও পাশ করিয়ে নেয় মোদী সরকার।
বিরোধীদের অভিযোগ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও গায়ের জোরে বিল তিনটি পাশ করিয়ে নিয়েছে শাসক দল। তাঁরা ভোটাভুটির দাবি জানালেও ডেপুটি চেয়ারম্যান তাতে কর্ণপাত না করে ধ্বনি ভোটে বিল পাশ করান। রাষ্ট্রপতিকে বিলে সই না করে এই বিল তিনটি সংসদে ফেরত পাঠানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু রবিবার বিলে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে তিনটি বিলই (জুন মাসে জারি হওয়া অধ্যাদেশ) আইনে পরিণত হয়েছে। রবিবার প্রথম দু’টি বিল পাশের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ-আন্দোলন।
এদিকে বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে কর্নাটকে। এছাড়া সোমবার রাজ্যজুড়ে বন্ধের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন এবং রাজ্যের বিরোধী জোট কংগ্রেস-জেডিএস। সকাল থেকেই বন্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রাস্তায় যানবাহন নামেনি। খোলেনি দোকানপাট। বেঙ্গালুরুতে টাউন হল থেকে মাইসোর ব্যাঙ্ক সার্কেল পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে বিরোধীরা। যদিও পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। সূত্র : আনন্দবাজার

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন