সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দ্বারা স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ এবং খাগড়াছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দুই দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার বিকাল ৩ টার দিকে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকতের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ চত্ত্বর থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কর্মচারী ক্লাব হয়ে জাবির বিশমাইল গেটে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় জাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, ‘এই করোনাকালীন সময়ে ছাত্রদল যখন অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে ছাত্রলীগ তখন চাঁদাবাজি করছে। ছাত্রদল যখন বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দিচ্ছে ছাত্রলীগ তখন বস্ত্র হরণ করে আমাদের মা বোনদের ইজ্জত কেড়ে নিচ্ছে। ছাত্রলীগকে ধর্ষন, গুম, খুন, চাঁদাবাজী করার সার্টিফিকেট দিয়েছে এই অবৈধ সরকার। এই অবৈধ সরকার তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তাদের দলীও ক্যাডার জঙ্গি ছাত্রলীগকে ব্যবহার করছে। ছাত্রলীগ কোনো অপরাধ করলে তার বিচার না করে বরং তাদেরকে পুরস্কৃত করছে। আমরা শেষবারের মতো এই বেহায়া সরকারকে বলতে চাই আপনারা যদি এই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করেন তাহলে ছাত্রলীগকে যেখানে পাওয়া যাবে ছাত্রদল সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে সেখানেই সমুচিত জবাব দিবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা হাফিজুর রহমান সোহান, জাবি ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলীল বিপ্লব, ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম সাগর, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন হাবীব হিরণ, ছাত্রনেতা সেলিম রেজা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান শুভ, শহীদ রফিক জব্বার হলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মার্জুক, মীর মোশাররফ হোসেন হলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসাইন, ছাত্রনেতা জুয়েল আহম্মেদ তালুকদার, ছাত্রনেতা হারেস ফরহাদ, ছাত্রনেতা দেওয়ান আলাউদ্দিন, ছাত্রনেতা আমিন, শিশির, রাজু আহমেদ রাজন, বকুল হোসাইনসহ প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোঃ ফয়সাল হোসেন, নবীনুর রহমান নবীন, মিজানুর রহমান রনি, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইসরাফিল চৌধুরী সোহেল, ওয়াসিম আহমেদ অনিক, মেহেদী হাসান প্রিন্স ও কে এম রিয়াদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন