চাল শাকসবব্জি ও মাছ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পন্ন রাজশাহী। এখানকার চাহিদা মিটিয়ে বিপুল সংখ্যক এসব পণ্য যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। অথচ উৎপাদনকারী এলাকায় এসব পণ্যের দাম চড়া। উৎপাদনকরীরা মাঠ পর্যায়ে ন্যায্য মূল্য না পেলেও বাজারে তাদের এসব কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। রাজশাহীতে আবারও বেড়েছে চাল, পেঁয়াজ ও সবজির দাম। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে সবজির দাম হয়েছে লাগাম ছাড়া। বাজারে পেঁয়াজেরও দাম এখনও উর্ধ্বমুখী। একি অবস্থা চালের বাজারেও। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
নগরীর বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সবজির দামই বাড়তি। কোন কোন সবজি কেজিতে বেড়েছে দশ টাকা থেকে ত্রিশ টাকা। আলু সারা বছর থাকে বাজারজুড়ে। সেই আলুর দামও চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে। ক’দিন আগে আলুর দাম ছিলো কেজি প্রতি ২৮ টাকা। তবে এখন বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। বাজারে এসেছে আগাম শীতকালীন শাকসবব্জি। চড়া দাম নিয়েই বাজারে এসেছে। শুরুতে ফুলকপির দাম ১০০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও এখন ১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বাড়তি দাম বরবটির ও বেগুনেরও। এই দুই সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে। বরবটির দাম হয়েছে ৬০ টাকা। শসা ও টমেটোর দাম কেজি প্রতি ২০ করে বেড়েছে। তিন দিনের ব্যবধানে টমেটার দাম হয়েছে ১২০ টাকা। শসার দাম হয়েছে ৮০ টাকা। বাড়তি দাম পটল ও ঢেঁড়সেরও। পটলের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা করে। এখন ৩০ টাকা কেজিতে পটল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজিতে উঠেছে। মূল্যহীন মুলার দামও চল্লিশ টাকা।
সবজির দামের মতো উর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। গত কয়েকদিন ধরেই বাড়তি পেঁয়াজের দাম। তিন দিন আগেই দেশি পেঁয়াজের দাম ছিলো কেজিতে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এখন সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা করে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা হয়েছে। বাড়তি দাম আদা ও রসুনের। এসবের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা করে। আদা ও রসুন এখন ১২০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে দেশি আদার দাম আরও বেশি বাড়তি। দেশি আদা এখন ১৬০ টাকা কেজি। সবজির মতোই বাড়তি দাম চালের। বেশ কিছুদিন ধরেই চালের দাম বাড়তি। মান ভেদে প্রতিটি চালের দাম বেড়েছে।
থরে থরে সবজি সাজিয়ে বসে ছিলেন বিক্রেতা তুহিন। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই সব সবজির দামই বেশি। পাইকারীর বাজারে দাম বেশী তাই আমাদেরও বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মাছের বাজারে ব্যবসায়ী রফিকুল জানান, মাছের বাজার খানিকটা চড়া। এ সময় ইলিশ মাছে বাজার ভরা থাকার কথা। কিন্তু ইলিশ নেই। নদী থেকেও তেমন মাছ আসছে না। আবার ক’দিন আগে আবহাওয়ার কারণে এ এলাকার পুকুর গুলোতে গ্যাস সঙ্কটে। বিপুল পরিমাণ মাছ মারা গেছে। যার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন