শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

সাড়ে ১৮হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত পানির নীচে

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৮ পিএম

কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মঙ্গলবার সকালে ধরলা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ছে তিস্তায় ও ব্রহ্মপুত্র নদে। ফলে দেড় শতাধিক চর ও চর সংলগ্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় দিনমজুররা প্রায় ৩ মাস ধরে টানা কর্মহীন থাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। প্রকট হয়েছে গোখাদ্যের সংকটও।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা, ভাঙামোড়, কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা, ভোগডাঙা, পাঁচগাছি, মোগলবাসা, রাজারহাট উপজেলার ছিনাই, বিদ্যানন্দ, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে জানা গেছে,ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় চর ও দ্বীপচরের বানভাসী প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের কষ্ট এখনও রয়েছে।দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকট। তাছাড়া চর গুলোতে বন্যার পানি থাকায় গবাদি পশু নিয়ে এখানকার মানুষজন পড়েছেন সংকটে।খড় ও গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় দেখা দিয়েছে গোখাদ্য সংকট।
৫ম দফা বন্যায় জেলার ১৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।এরমধ্যে ১৭হাজার ৩৩৫ হেক্টর রোপা আমন,৬৫৫ হেক্টর মাশকালাই,৩৫০ হেক্টর শাকসবজি,৮০ হেক্টর চিনাবাদাম রয়েছে। ধার দেনা করে আমন আবাদ করলেও বন্যায় সব নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে,জেলার বিভিন্ন নদনদীতে তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সদর উপজেলার হলোখানা ইউপির শুভারকুটি এলাকার পাঙারচরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহররক্ষা বাঁধের ৩০০মিটারের প্রায় ৫০মিটার ধবসে গিয়েছে। ফলে এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ নদীভাঙনের আতংকে রয়েছেন। জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউপির চেয়ারম্যান উমর ফারুক।

উলিপুর উপজেলার বজরা ইউপির চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউপির চেয়ারম্যান জানান,তিস্তা ভাঙনে গোড়াই পিয়ার, চর বজরা, ধরলার ভাঙনে সারডোব ও জগমোহনের চরসহ বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীর ভাঙন আরো তীব্র হয়েছে। গত তিন দিনে আরো দুই শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, নদীর পানি কমাবাড়া করলেও বড় ধরণের বন্যার আশংকা নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন