বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভিন্নমাত্রা আসছে প্রচার কার্যক্রমে

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রচার কার্যক্রমে ভিন্নমাত্রা যোগ হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপকমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, তথ্যসচিব কামরুন নাহার এ সময় সভাকক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করেছিলাম তার অনেকগুলোই করোনাভাইরাসের কারণে বছরের প্রায় সাত মাস স্থগিত ছিল। সুতরাং বাকি সময়টুকুর মধ্যে দেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমরা বাস্তবসম্মতভাবে কী কী করতে পারি সেটি বিশদ পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী বছরের ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ শেষ হতে যাচ্ছে, আবার আগামী বছর হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অর্থাৎ ৫০তম বার্ষিকী -এই প্রেক্ষাপট নিয়েও আমরা আলোচনা শুরু করেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যে সমস্ত অনুষ্ঠান জনসমাগম না করেও করা যায় এবং অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যেমন আমরা অনেকগুলো প্রামাণ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পরিকল্পনা করেছিলাম। সেগুলোর নির্মাণ কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে নির্মাণ কাজে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বাকি সময়ের মধ্যে আমরা সেগুলো কীভাবে সম্পন্ন করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের অনেক গ্রোগ্রাম সীমিত ও স্থগিত করেছেন। বহুদিন ধরে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠানমালার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলেও করোনাভাইরাসের হাত থেকে দেশের মানুষকে যথাসম্ভব মুক্ত রাখার চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন, অন্যান্য অনেক অনুষ্ঠানও বাতিল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে ক’টি দেশে সবচেয়ে কম বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই এটি সম্ভবপর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আকতার হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক সামিয়া হালিম প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষের চারা রোপণ করে তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ বলেন, বৃক্ষরোপণ একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। মানুষ এখন হাট বাজারে গিয়ে সাধারণ পণ্য কেনার পাশাপাশি দুটি/তিনটি বৃক্ষের চারা কিনে নিয়ে আসে। একটি করে বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর যে স্লোগান সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেয়া স্লোগান। সামাজিক বনায়নের ফলে বৃক্ষাচ্ছাদিত অঞ্চলের পরিমাণ গত ১১ বছরে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন একটি বৃক্ষ মানুষকে বহুমাত্রিক সুবিধা দেয়। বৃক্ষ মানুষকে অক্সিজেন দেয়, ফল দেয়, বৃক্ষ পরিবেশকে নির্মল রাখে, পানি ধরে রাখে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন