মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আত্রাই বাঁধে ভাঙন

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে নওগাঁর প্রধান দুটি নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মান্দা এবং আত্রাই উপজেলায় আত্রাই নদীতে পূর্বের ভাঙনগুলো দিয়ে পুনরায় জনপদে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর ফলে তলিয়ে গেছে কৃষকদের দ্বিতীয় পর্যায়ে রোপন করা ফসল।
এদিকে মান্দা উপজেলায় কসব ইউনিয়নের বনকুড়া নামকস্থানে আত্রাই নদীর ডানতীরে মূল বাঁধ নতুন করে ভেঙে গেছে। এর ফলে মান্দা উপজেলার কসব, নুরুল্যাবাদ ও বিষ্ণপুর ইউনিয়নসহ আত্রাই উপজেলা এবং রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাউবোর গাফলতি ও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সময়মত ভাঙা স্থান মেরামত না করে সময় ক্ষেপণ করে আসছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সময়মত ভাঙা স্থান মেরামত না হওয়ায় বন্যার পানিতে ওইসব এলাকায় হাজার হাজার বিঘা জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে। এতে তারা আবারও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ উজ্জামান খান জানিয়েছেন, আত্রাই নদীর পানি ৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর ধামইরহাটে শিমুলতলী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার, মান্দার জোতবাজার পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার এবং আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলস্টেশন পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে নওগাঁ ছোট যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হালিম জানিয়েছেন পূর্বের ৩টি স্থানে যে ভাঙন দেখা দিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড সেগুলোর মেরামতের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু মাটির অভাবে মেরামত কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হতেই দি¦তীয় পর্যায়ে পানি বৃদ্ধির কারণে আবারও সেসব স্থান দিয়ে পানি জনপদে ঢুকতে শুরু করেছে। এর উপর নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এখনও কেউ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেনি।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছানাউল ইসলাম জানিয়েছেন, বিগত বন্যায় এই উপজেলায় আত্রাই নদীর মোট ৪টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এর মধ্যে শিকারপুর, ভাঙ্গাজাঙ্গাল ও মালিপুকুর এই ৩টি স্থানে মেরামত করা হলেও আহসানগঞ্জ-এর নিকটে জাত আমরুল নামক স্থানের বড় ভাঙনটি মেরামত কাজ চলছিল। কিন্তু মেরামত কাজ শেষ না হতেই পুনরায় টানা ভারী বর্ষণ এং উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে পুনরায় ভেঙে যাওয়ার ফলে নদীর পানি জনপদে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর ফলে আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ, পাঁচুপুর এবং নাটোর জেলার খাজুরা এবং নলডাঙ্গা’র বিশাল এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফসল এবং বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন