মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অনুসন্ধানে হাইকোর্টের কমিটি

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ১৫ দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন ৫ দিনের রিমান্ডে আরো ৩ আসামি

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য গতকাল কমিটি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, মুখ্য মহানগর হাকিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গৃহবধূকে রক্ষায় অবহেলা ও অছাত্রদের কলেজে অবস্থান বিষয়ে নীরবতায় প্রিন্সিপাল ও হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এদিকে, সিলেটে গণধর্ষণ মামলার গতকাল আসামি শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিসহ গ্রেফতারকৃত অপর দুইজনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য দুজন হচ্ছে রাজন মিয়া ও মো. আইনুদ্দিন। এছাড়া অপর দুই আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমক ও তারেককে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাকে শাহপরান থানায় হস্তান্তর করা হয়। অপরদিকে, গণধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত ৩ সদস্যদের তদন্ত কমিটি গতকাল কলেজ ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছেছেন। কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

৫ দিনের রিমান্ডে আরো ৩ হোতা : গণধর্ষণের মামলার ২য় আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, সন্দেহভাজন আসামি রাজন মিয়া ও মো. আইনুদ্দিনকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গত রোববার রাতে অন্যতম আসামি শাহ মাহবুবর রহমান রনিকে হবিগঞ্জ সদর থেকে আটক করেছে র‌্যাব। ওদিন মধ্যরাতে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে রাজন মিয়া ও মো. আইনুদ্দিনকে আটক করে র‌্যাব। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি ছিলেন তারা। গত সোমবার আদালতে এ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর ও অর্জুন লস্কর তাদের নাম প্রকাশ করে।

আটকের পর গতকাল সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে বেলা পৌনে ১২ টায় তাদের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে তাদের হাজির করে শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশ। এসময় আদালতে সাধারণ জনতা ‘ফাসি চাই’ ‘ফাসি চাই’ সেøাগানে প্রকম্পিত করে তোলেন। তদন্তের স্বার্থে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্রাচার্য্য রাজন। পরে শুনানি শেষে সকলের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি খোকন কুমার দত্ত জানান, শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতে।

হাইকোর্টের তদন্ত কমিটি ও রুল : গণধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে এটি অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সাধারণ) রেখে গঠন করা হয়েছে এই কমিটি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে রেজিস্ট্রার মারফত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে রক্ষায় অবহেলা ও অছাত্রদের কলেজে অবস্থানের বিষয়ে নীরবতায় প্রিন্সিপাল ও হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাফিজ মোহাম্মদ মিজবাহ উদ্দিন এই গণধর্ষণের ঘটনায় একটি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি মো. মহিউদ্দিন শামিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপারসহ বিবাদিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১৮ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

পুলিশের খাঁচায় অন্যতম আসামি মাহফুজ ও তারেক : সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার দুই নম্বর আসামি তারেকুল ইসলাম তারেককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯ এর একটি টিম। সে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে। গতকাল সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে মহানগর পুলিশের চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এজাহারনামীয় ৬ আসামিসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করল সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র‌্যাব।

এর আগে গত সোমবার রাতে সিলেট জেলা ডিবি ও কানাইঘাট থানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে হরিপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম। আটকের পর ছবিতে দেখা যায় ধর্ষক মাহফুজের পরনে ছিল লাল রংয়ের টি-শার্ট ও লুঙ্গি। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কানাইঘাট থানায়। সেখানেও তাকে একই অবস্থায় দেখা যায়। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ধর্ষক মাহফুজকে যখন জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় তখন তার পরনে লাল রংয়ের টি-শার্টের পাশাপাশি লুঙ্গির বদল পরনে দেখা গেছে জিন্স প্যান্ট। এনিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে সমালোচনা করার পাশাপাশি দ্রæত সময়ের মধ্যে ধর্ষণ মামলার আসামি মাহফুজ আটক হওয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেন। গৃহবধূর স্বামী ও মামলার বাদী মাইদুল ইসলাম আসামিদের আটককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, এটি বিরাট সফলতা।

সিলেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি : শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গতকাল বিকেলে এমসি কলেজে এসেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। কাজ শুরুর পর তদন্ত কমিটির সদস্যরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ৩ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দেবেন তারা।

তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউসি) পরিচালক (প্রশাসন) শাহিদুল কবির চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণধর্ষণ একটি নিন্দনীয় ঘটনা। যেহেতু আমরা শিক্ষার সঙ্গে জড়িত, তাই আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। মন্ত্রণালয় আমাদের বলেছে তিনদিনের মধ্যে প্রাথমিক এবং সাতদিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে। আমরা এমসি কলেজের প্রশাসন অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিষয়টি স্পর্শকাতর, তাই নির্যাতিতা নারীর সঙ্গে কথা বলাটা সহজ হবে না। তবু চেষ্টা করব কথা বলার। তদন্তের স্বার্থে দরকার। তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকার পরও ছাত্রাবাস কেন খোলা ছিল এ বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।

আসামিদের পক্ষে নেই কোন আইনজীবী : আদালতে গতকালও আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না । আসামি পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকা প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিন বলেন, এ কর্মকান্ডকে সিলেটের আইনজীবীরা ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করায় কোন আইনজীবী তার পক্ষ নেননি। এর আগে গতকাল সোমবার মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, রবিউল ইসলাম, অর্জুন লস্করকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের পক্ষেও কোন আইনজীবী উপস্থিত হননি।

বিচারের দাবিতে দেশে বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় অব্যাহত : সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘটিত গণধর্ষণ ঘটনা দেশের সীমানা পেরিয়ে প্রবাসে ঢেউ উঠেছে। সেকারনে প্রতিবাদমুখর সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল বেলা ১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। এছাড়া শাস্তির দাবিতে লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, সন্তান কমান্ড ও যুব কমান্ড, সিলেট মহানগর যুবদল ও হিউম্যান রাইটস্ মনিটরিং অর্গানাইজেশন।

প্রসঙ্গত গত শুক্রবার স্বামীর সঙ্গে ঘরতে গিয়ে সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক গৃহবধূ। এ ঘটনার পর ওই দিবাগত রাত ৩টায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন গৃহবধূর স্বামী মাইদুল ইসলাম। থানায় দায়েরকৃত এজহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীকে নিয়ে শুক্রবার বিকেল ৫টায় একটি প্রাইভেটকারে (যার নং ঢাকা মেট্রো ভ-০২-১৩৬২) রওয়ান হন হযরত শাহপরান (রহ.) মাজারে। জেয়ারত শেষে আনুমানিক সন্ধ্য সাড়ে পৌনে ৮টায় এসে পৌছেন সিলেট এমসি কলেজ এর মুল ফটকে। এরপর পাকা রাস্তার উপর গাড়ি থামিয়ে সিগারেট কিনতে নামেন তিনি। গাড়ি থেকে নামমাত্রই তার স্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন বিবাদীরা। এঘটনার প্রতিবাদ করতেই মাইদুলের উপর চড়াও হয়ে ১ নং বিবাদী সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্কর চড় থাপ্পর মারেন। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে ঘটনার প্রতিবাদ করেন মাইদুলের স্ত্রী। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হয়ে উঠে মাইদুল ও তার স্ত্রীর জীবনে। বিবাদীরা ধমক দিয়ে মাইদুল ও তার স্ত্রীকে উঠতে বলে প্রাইভেটকারে। এরমধ্যে প্রাইভেটকারের ড্রাইভিং সিটে উঠে বসেন মামলার ২নং বিবাদী তারেকুল ইসলাম তারেক। নিরূপায় মাইদুল ও স্ত্রীকে নিয়ে পেছনের সিটে বসেন। কিন্তু এরপরই ১নং বিবাদী সাইফুর রহমান ও ৪ নং বিবাদী অর্জুন লস্কর বালিকা বধূর পাশে বসে পড়েন পেছনের সিটে। এছাড়া ৩নং আসামী শেখ মো: মাহবুবুর রহমান রনি প্রাইভেটকারের সামনের ড্রাইভিং সিটের পাশে বসে। ২নং বিবাদি তারেক গাড়ি চালিয়ে সোজা চলে যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাস প্রাঙ্গনে। এক পর্যায়ে প্রাইভেটকারটি দাঁড় করানো হয় ৭নং বøকের ৫ম তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণের খালি জায়গায়। এসময় অন্য বিবাদীরা মোটর সাইকেলযোগে পিছু নিয়ে উপস্থিত হন ঘটনান্থলে। এরপর বালিকা বধূর স্বামী মাইদুলের মানিব্যাগ থেকে ২০০০ (দুই হাজার) টাকা ছিনিয়ে নেয় ২নং বিবাদী তারেক। ৩ নং বিবাদী শেখ মাহবুবুর রহমান রনি ছিনিয়ে নেয় ১২ আনা পরিমানের ৪৪ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের কানের দুল। এসময় এগিয়ে এসে ৪ নং বিবাদী অর্জুন লস্কর ছিনিয়ে নেয় ৬ আনা পরিমানের ২১ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের গলার চেইন। তখন মাইদুলের স্ত্রী সুর-চিৎকার দিতে চাইলে মুখ চেপে ধরে বিাদীরা।

পরবর্তীতে প্রাইভেটকারের মধ্যে বালিকাবধূকে রেখে মাইদুলকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় ১নং বিবাদী সাইফুর রহমান, ২নং বিবাদী তারেকুল ইসলাম তারেক, ৩নং বিবাদী শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি ও ৪ নং বিবাদী অর্জুন লস্কর। তাকে কলেজ ছাত্রাবাসে ০৭ বøকের ৫ তলা বিশিষ্ট নতুন বিল্ডিং এর সামনে পশ্চিম পাশে নিয়ে যায় তারা। রাত ৮টায় আসামিরা কথা বলায় ব্যস্ত রাখে মাইদুলকে। সেই ফাঁকে প্রথমে ১ নং বিবাদী সাইফুর রহমান পরে ক্রমান্বয়ে তারেকুল ইসলাম তারেক, শাহ মো: মাহবুবুর রহমান রনি ও অর্জুন লস্কর প্রাইভেটকারের ভেতর ক্রমান্বয়ে ধর্ষণ করে বালিকাবধূকে। এসময় মাইদুল তার স্ত্রীর চিৎকার শুনে বাঁচাতে চাইলে অপর আসামিরা দাকে মারধর করে। অনুমান অর্ধঘণ্টা পর নির্যাতিতা কাঁদতে কাঁদতে চলে আসে স্বামী মাইদুলের পাশে। তখন বিবাদীরা মাইদুলকে বলে প্রাইভেট কার রেখে সে যেন স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়। অন্যথায় ৫০ হাজার টাকার চাঁদা দিয়ে সে প্রাইভেট কারটি নিতে পারবে বলে শর্ত জুড়ে দেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন