শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফিলিস্তিনি নারীর অপেক্ষার অবসান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

হবু বর আবদেল করিম মুখাদেরের জন্য ১৮ বছরের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে কনে জিনান সামারার। শুক্রবার বিয়ের আসরে বসছেন তারা। দেড় যুগ আগে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক বন্দী হয়েছিলেন মুখাদের। সাজা শেষে রবিবার মুক্তি মিলে তার। যখন বন্দী হয়েছিলেন তখন মুখাদেরের বয়স ছিল ৩১, বর্তমানে তার বয়স ৪৯। দীর্ঘ কারাবাসে সামারার প্রতি মুখাদেরের ভালোবাসা এতটুকু কমেনি। বরং ভালোবাসা আরও মজবুত হয়েছে। ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরের মজিদ্দো কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জালামাহ ইসরাইলি মিলিটারি চেক পয়েন্টে দেখেন ফুল নিয়ে অপেক্ষা করছে তার ভালোবাসা সামারা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পছন্দের মানুষকে শেষ পর্যন্ত জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে যাচ্ছেন, তাতে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই সামারার। আরব নিউজকে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত আমাদের ভালোবাসার জয় হবে, এই নিয়ে আমি কখনো আশা হারায়নি। ধৈর্য্য ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি এক মুহূর্তের জন্যও দ্বিধা করিনি। তার জন্য অপেক্ষা করেছি, আমার সিদ্ধান্তে আমার পরিবারও হস্তক্ষেপ করেনি। ইসরাইলি বাহিনীর দখলদারি ও নিপীড়ন ফিলিস্তিন ভূখন্ডে এমন হাজার হাজার গল্পের জন্ম দিয়েছে বলে জানালেন সামারা, আমার গল্পটি দখলদারিত্ব ও নিপীড়নে যারা শিকার হয়েছেন এমন হাজার হাজার গল্পের মধ্যে একটি। অনেক বাড়িতে শহীদ বা বন্দীর মা বা স্ত্রী রয়েছেন। বাগ্দত্তা মুখাদেরের কারাবাসের সময়টাতে সালফিতের সেন্ট্রাল ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে সামারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাবিষয়ক তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসরাইলিবাহিনীর অনুমতি নিয়ে প্রায়ই হবু বরের সঙ্গে জেলে সাক্ষাৎ করতেন। সামারার সহযোগিতায় জেলে বসেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সম্পন্ন করেন মুখাদের। হবু স্ত্রীর উৎসাহে আল-কুদস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসরাইলেলি স্টাডিজে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন মুখাদের। মুক্তি পাওয়ার রাতে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে বিয়ের পরিকল্পনা নিয়েই সারা রাত কেটেছে বলে জানালেন সামারা। এদিকে, বছরের পর বছর বাগ্দত্তা সামারার ভালোবাসা ও ত্যাগ কখনো ভোলার নয় বলে জানালেন মুখাদের। আমি যদি তাকে পৃথিবীটা দিয়ে দেই তাহলেও এই ঋণ শোধ হবে না। পুরুষের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের নারীরাও ইসরাইলের দখলদারি ও অবিচারের শিকার। ইসরাইলের কারাগারে সতীর্থ বন্দীদের কথা স্মরণ করে মুখাদের বলেন, আমার হৃদয়টা এখনো হাজার হাজার বন্দী, আমাদের সতীর্থদের মাঝে পড়ে আছে। তারা সবাই নির্যাতন ও অবিচারের শিকার। আরব নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন