রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের আসন্ন উপনির্বাচনে আ.লীগের দলীয় মনোনিত প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দলের একাংশ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। অপরদিকে এই মানববন্ধন কর্মসূচি প্রতিহতের ডাক দেয় গোয়ালন্দ উপজেলা আ.লীগ।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১১টায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সামনে আ.লীগের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি আহবান করে আ.লীগ ও সহযোগি সংগঠনের একাংশের নেতৃবৃন্দ। উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান চৌধুরী এ মানববন্ধন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। অপরদিকে মানববন্ধনের খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা আ.লীগ সকাল থেকে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়।
উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, দলীয় প্রার্থী মোস্তফা মুন্সির নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মানববন্ধন নিয়ে এগুলো উজানচর মডেল স্কুল এলাকায় মহাসড়কে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরিফ উজ জামান ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীরের নেতৃত্বে পুলিশ তাদেরকে আটকে দেয়। বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে ৭-৮ কি.মি. করে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রী ও চালকরা দুর্ভোগে পড়েন।
এদিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে উজানচর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ দুপুর ১টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে গোয়ালন্দ মাল্লাপট্টি ব্রিজ এলাকায় দুই যুবক তার গতিরোধ করে তাকে বেধরক পিটিয়ে জখম করে এবং মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে গোয়ালন্দ হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
মানববন্ধন প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মোস্তফা মুন্সি বিএনপি-জামায়াত থেকে সদ্য আ.লীগে এসেছে। তার মতো একজন অনুপ্রবেশকারীকে দলীয় হাইকমান্ডকে ভুল বুঝিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে এসেছে।
অপরদিকে নৌকার প্রার্থী মোস্তফা মুন্সি বলেন, আমি কোনোকালেই বিএনপি-জামায়াতের সাথে যুক্ত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে এটা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার স্বাক্ষরে আমাকে এখানে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরিফুজ্জামান বলেন, আমরা উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে এবং শান্তি বজায় রাখতে মহাসড়কে অবস্থান নেই। কোনো গ্রুপকে বাঁধা দিতে বা কোনো গ্রুপকে সুবিধা করে দেয়া আমাদের লক্ষ্য ছিল না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন