বিশ্ব নিরামিষ দিবস আজ। নিরামিষ বা শাক-সবজি জাতীয় খাদ্যের উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন ও উৎসাহিত করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৭৭ সালের ১ অক্টোবর থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
পুষ্টিবিদরা জানান, নিরামিষ জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিরামিষভোজীরা আমিষভোজীদের চেয়ে দীর্ঘায়ু হন। তাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতাজনিত শারীরিক সমস্যা কম হয়। এ খাবারে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ তন্তু, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, সম্পৃক্ত স্নেহ পদার্থ ও প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক পদার্থ। নিরামিষভোজীদের উচ্চ কোলেস্টেরলজনিত বা নিম্ন রক্তচাপজনিত রোগ সাধারণত দেখা যায় না। তাদের হৃদরোগের আশঙ্কাও কম থাকে। খাদ্যতালিকায় বেশি ফল বা সবুজ শাকসবজি রাখলে শরীরে কম রাসায়নিক ও বিষাক্ত পদার্থের প্রভাব তৈরি হবে। এটিই বহুদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে।
উদ্ভিজ্জ ফ্যাটে কোনো রকম কোলেস্টেরল থাকে না। যদিও কোলেস্টেরল মানুষের কোষের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় তবু শুধু নিরামিষ খাবারের ওপর বেঁচে থাকলে শরীরের বিশেষ কোনো ক্ষতি হয় না। শরীর সবুজ শাকসবজি প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল জোগাড় করে নেয়। সুষম নিরামিষ খাদ্য মানুষের শরীরে পুষ্টি জোগায়, রক্তে শর্করা ও ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণও স্বাভাবিক রাখে। সতেজ ও স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য সঠিক ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
সতেজ সবজি গ্রহণে শরীর ও মনে অনেক বেশি সতেজতা বজায় থাকে। নিরামিষভোজী মানুষের ক্ষেত্রে রেস্টিং মেটাবলিজম রেট অনেক বেশি। নিরামিষ শুধু সহজপাচ্যই নয়, এটি শারীরিক ফ্যাট বিপাকেও যথেষ্ট সহায়তা করে। নিরামিষ খাবারের রয়েছে অনেক উপকার। তাজা ফলমূল ও সবজি রাখতে হবে প্রতিদিনের খাবারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন