শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নয় ছিনতাইকারী গ্রেফতার

টার্গেট বিকাশ এজেন্ট

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিকাশ হ্যাকার চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীসহ ফরিদপুরের মধুখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুইটি আইফোনসহ ১০টি মোবাইল ফোন, ৩৭টি সিম ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। গতকাল বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো রানা খান, মো. লিটন, মো. নয়ন শেখ, মো. টিটু মোল্লা, মো. সালমান মোল্লা, আকাশ শেখ, মোয়াজ্জেম হোসেন, রহিম ও তানজিল। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন বিভিন্ন বিকাশের দোকানে ক্যাশ ইন রেজিষ্ট্রারের নম্বর লেখা পাতাটির ছবি সু-কৌশলে তুলতেন। এরপর হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ফরিদপুরের মধুখালী থানার ডুমাইন গ্রামে থাকা মূল হ্যাকারদের নিকট পাঠিয়ে দিতেন। এজন্য নম্বর লেখা প্রতিটি পাতা ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করতেন। মূল হ্যাকাররা ছবির নম্বর দেখে বিকাশের দোকানদার সেজে ভিকটিমকে বিভিন্ন অপারেটরের সিম থেকে কল দিতেন এবং বলতেন তার দোকান থেকে ভুলে কিছু টাকা ভিকটিমের নম্বরে চলে গেছে। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিকটিমের একাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং বিকাশ অফিস থেকে তাকে কল দেয়া হবে। একটু পর মূল হ্যাকার বিশেষ অ্যাপ ব্যাবহার করে বিকাশ অফিসের নাম করে বিকাশ সেন্টারের মূল নম্বরের সদৃশ্য নম্বর হতে ভিকটিমকে কল দিতেন। ভিকটিমের নম্বরে তখন +০১৬২৪৭ থেকে কল আসে। কলসেন্টারের উক্ত ব্যক্তি ভিকটিমের নম্বরে একটি ঙঞচ প্রেরণ করতেন এবং কৌশলে প্রেরিত ঙঞচ ভিকটিমের নিকট জানতে চায়। ভিকটিম তিনি আরো বলেন, প্রতারিত হয়ে তার নিকট প্র্রেরিত ঙঞচ এবং চওঘ নম্বর বলে দেয়। ভিকটিম অনেক সময় পিন নম্বর বলতে না চাইলে হ্যাকার ভিকটিমকে একটি অংক করার জন্য বলতেন এবং অংক করার ছলে ভিকটিমের নিকট থেকে সু-কৌশলে পিন নম্বর জেনে নিতেন। হ্যাকার ভিকটিমের একাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ভিকটিমের একাউন্টের টাকা বিভিন্ন এজেন্ট পয়েন্টে পাঠিয়ে দিয়ে হ্যাকারদের মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা ক্যাশ আউট করে নিতেন। এজন্য উক্ত ব্যক্তিকে প্রতি ১০ হাজারে ১০০০ টাকা প্রদান করা হত।

টাকা ক্যাশ আউট করার পর উক্ত ব্যক্তি পূণরায় হ্যাকারদের পার্সোনাল বিকাশ একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিতেন। হ্যাকাররা উক্ত টাকা মধুখালী ফরিদপুরের বিভিন্ন ব্যক্তি, যারা প্রতি হাজারে ৪০০ টাকা করে কমিশন গ্রহন করে ক্যাশ টাকা হ্যাকারদের নিকট প্রদান করতেন। হ্যাকাররা বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেজিষ্ট্রিকৃত বিকাশ পার্সোনাল একাউন্টের প্রতিটি সিম ৩০০০-৪০০০ টাকায় ক্রয় করতেন। হ্যাকাররা প্রতারণার কাজে আইফোন ব্যবহার করতেন। তারা সকলেই বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বর্তমান পেশা হিসেবে এই প্রতারণার ব্যবসা করে আসছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) হাফিজ আক্তার বলেন, বিকাশ হ্যাকার চক্র থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিকাশ এজেন্ট সেজে কেউ ফোন করে পিন নাম্বার অথবা পাসওয়ার্ড চাইলে না দেয়ার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন