বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পুলিশ-সিআইডির ভুলে ৬ নিরীহের কারাভোগ

৬ বছর পর মৃত যুবক আদালতে

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় অপহরণ মামলার ৬ বছর পর নিজেই আদালতে হাজির হয়েছেন কথিত অপহৃত যুবক মামুন। অথচ পুলিশ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ওই অপহৃতকে হত্যার পর লাশ গুম করে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দিয়েছে। আর সিআইডি তাদের দেয়া চার্জশিটে বলেছে, যুবককে অপহরণ করা হয়েছে। এসব কারণে গত ৪ বছর ধরেই মামলার আসামি হয়ে বিভিন্ন সময়ে কারাভোগ ও রিমান্ডের শিকার হয়েছেন ওই যুবকের খালাতো বোনসহ ৬ জন। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় কথিত অপহৃত হাজির হলে দেখা দেয়া চাঞ্চল্য। কথিত অপহৃত মামুন ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ মে মামুন অপহরণ হয়েছে অভিযোগ এনে দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৯ মে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন বাবা আবুল কালাম। ওই মামলায় ৬ জনকে বিবাদী করা হয়। পরে মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি। নারায়ণগঞ্জ সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১০ মে খালাতো বোন তাসলিমাকে দিয়ে কৌশলে মামুনকে বাড়ি ডেকে আনা হয়। পরবর্তীতে মামুনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তাসলিমা। কিন্তু বিয়েতে রাজি না হওয়াতে বিবাদী ৬ জন মিলে মামুনকে কোমল পানির সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে সিএনজিচালিত অটো রিকশায় অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তবে কোথায় কিভাবে কি অবস্থায় রাখা হয়েছে সেটা জানা যায়নি।
মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন সোহেল জানান, ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদেরকে রিমান্ডে নিয়েছে। ফৌজদারী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার জন্য তাদেরকে বারবার চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং মেরে রক্তাক্ত করেছে তৎকালীন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। কিন্তু জবানবন্দি আদায় করতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা জেলা ও দায়রা জজ থেকে জামিন নিয়েছেন। তাসলিমা ও রফিক হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন