শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নির্জন কক্ষে একাকী মিন্নি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৫৭ এএম

কনডেম সেলের আসামিরা জেলের ভেতর আরেক জেলে দিন কাটাতে হয়। সাধারণ আসামিদের দিনের বেলায় লকআপ থেকে বের করে দেয়া হলেও তাদের সে সুযোগ দেয়া হয় না। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামিকে জীবনের শেষ দিনগুলো এমনই
ছোট্ট একটি নির্জন কক্ষে একাকী থাকতে দেয়া হয়। কক্ষের ভেতরেই টয়লেট করতে হয়। মেজেতেই ঘুমাতে হয়। সব সময় বাতি জ্বালানো থাকে।

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির আসামি তার স্ত্রী মিন্নিকে সব সময় একাকী থাকতে হবে। কথা বলার মতো কোনো মানুষের সাক্ষাত পাবেন না। এই মুহূর্তে বরগুনার কারাগারে নারী বন্দীদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে আছেন। মিন্নি ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে অন্য কোনো নারী বন্দী নেই।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারের যে বিশেষ কক্ষে রাখা হয় সেটাকে কনডেম সেল বলা হয়। কনডেম সেলের বন্দীরা কখনো সেল থেকে বাইরে বের হতে পারেন না। এসব বন্দীরা মাসে একবার তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এছাড়াও সপ্তাহে একবার তারা ফোনে তাদের স্বজনদের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কথা বলতে পারেন।

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে এই ছয় বন্দী ব্যতীত অন্য কোনো কারাবন্দি নেই বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন।

এছাড়াও রিফাত হত্যা মামলার অপর পাঁচজন পুরুষ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই পাঁচ পুরুষ বন্দী ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে আর অন্য কোনো পুরুষ বন্দীও নেই বলে উল্লেখ করেন জেল সুপার।

মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মিন্নিকে রাখা হয়েছে নারী ওয়ার্ডের কনডেম সেলে। আর পুরুষ বন্দীরা আছেন পুরুষ ওয়ার্ডের কনডেম সেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Jack Ali ১ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৫০ এএম says : 0
If our country ruled by the Law of Allah then there will no illegal sexual intercourse, men women fre mixing, there will no music singing, drama, cinema, rape and many more harram things.
Total Reply(0)
মোহাম্মদ কবির হোসেন ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ পিএম says : 0
হেতি যা করছি এখনেই হেতির মৃতুদন্ড কায়কর করা উচিত ভয়ংকর মহিলা
Total Reply(0)
Nahian Hridoy ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৪ পিএম says : 0
মিন্নি অবশ্যই এর সাথে জড়িত তবে আমার মনে হয় না মিন্নি হত্যার সাথে জড়িত মিন্নি হয়তো চেয়েছিল কিছু উত্তম-মধ্যম দিবে বাট নয়ন তারা তাকে হত্যা করেছে এখানে মিন্নির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন দেওয়া যেত আর বাকি চারজন যারা বেকসুর খালাস পেয়েছেন তাদেরকে ,শাস্তির আওতায় আনা উচিত কারণ তারাই এর সাথে সরাসরি জড়িত
Total Reply(0)
Fazlul Haque Fazlu ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ পিএম says : 0
আমার কাছে এটি একটি যুগান্তকারী রায়। কারণ বাংলাদেশের আইনে নারীদের কোন অপরাধের বিচার প্রায় হয়না বললেই চলে। কিন্তু নারীরা অনেক বড় বড় অপরাধ করেও ছাড়া পেয়ে যায়। একজন নারী যে কত বড় অঘটন ঘটাতে পারে এই মামলা তার জলন্ত প্রমাণ। একজন নারী একই সাথে দুজন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দুজনের সাথেই সংসার করবে, তা বোধহয় কোন পুরুষই মেনে নিতে পারে না। রিফাত শরীফও পারে নাই। তারই ফল শ্রুতিতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে এই হত‍্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
Total Reply(0)
Adhora Rahman ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ পিএম says : 0
, বাংলাদেশে এটা একটা যুগান্তকারী রায়। এ পর্যন্ত কোন মেয়ের মামলায় ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয় নাই। এখন দেখা যাক এটা কার্যকর হয় কি না। তবে আমার মতে অবশ্যই কার্যকর হওয়া উচিত। অপরাধী কে লিঙ্গভেদে দেখার সুযোগ নেই । মেয়ে বলে সাজা কমানো উচিতই না। সে তো ক্রাইম মেয়ে বলে কম করে নাই। ক্রাইম তো ঠিকি করেছে।
Total Reply(0)
Ataur Ataullah ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৬ পিএম says : 0
এক মেয়ে বেপর্দা চলাফেরা আর ইসলামী হুকুম না মানাতে আজ কতগুলী প্রাণ বিপর্যায়ে ৷ শিক্ষা নাও সবাই, আজ হয়তো অভিযুক্তগনের পরিবার গুলি চিন্তায় রাতে খাবার খাওয়া এবং ঘুমও হবে না ৷
Total Reply(0)
মোঃ হুবাইব ১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২৮ পিএম says : 0
মেয়ের বাবা সব চেয়ে বেশী অপরাধী; ১টা বিয়ে বলবত রেখে আর একটা বিয়ে; এটা বাবার ভুল চিল?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন