বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিতর্কিত এলাকা থেকে আর্মেনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করলেই যুদ্ধ বন্ধ হবে : আজারি প্রেসিডেন্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪১ পিএম

গত রোববার সকাল থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর মধ্যে সীমান্তবর্তী বিতর্কিত নগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সংঘর্ষ শুরু হয়। গত কয়দিনের এই যুদ্ধে শতাধিক সামরিক ও বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। একে অপরের প্রতি হামলা অব্যাহত রেখেছে দুই দেশ। এমন পরিস্থিতিতে কোনো শর্ত ছাড়াই বিতর্কিত অঞ্চল না ছাড়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট। আর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীও লড়াই করে শান্তি ফেরানোর কথা বলছেন। খবর আল জাজিরার।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, নগরনো-কারাবাখ পার্বত্য অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়া সেনা প্রত্যাহার করে নিলে তিনি ওই অঞ্চলে তার দেশের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবেন। তিনি গতকাল বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সীমান্ত সংঘর্ষে আহত আজারি সেনাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে এ শর্ত বেঁধে দেন।
প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ বলেন, নগরনো-কারাবাখ অঞ্চল থেকে আর্মেনীয় সেনাদের নিঃশর্ত প্রত্যাহার করা হলেই কেবল তিনি তার সেনাদেরকে অভিযান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেবেন।

নগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে আজারি প্রেসিডেন্ট বলেন, আজারবাইজান তার দেশের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সব ভূমি পুনরুদ্ধারের কাজে নেমেছে এবং এই কাজ করার অধিকার তার দেশের রয়েছে।
নাগোরনো-কারাবাখকে আজারবাইজান নিজেদের বলে দাবি করে এলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। এদিকে, চলমান সংঘাত নিরসনে আলোচনার জন্য রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে দুই দেশ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশগুলোর একটি সামরিক জোটের সদস্য রাশিয়া। যে জোটে আর্মেনিয়া রয়েছে এবং দেশটিতে একটি রুশ সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো। তবে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিন্যান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো পরিস্থিতির যাতে উন্নতি হয় সে ব্যবস্থা করা। পুনরায় শান্তি স্থিতিশীলতা ফেরাতে আমরা কাজ করে যাব।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলকহাম আলিয়েভ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটির সমস্যা সমাধানে আমরা সমঝোতার কথা বলে আসছি। তবে এটি অবশ্যই ১৯৯২ সালে গঠিত ইউরোপের নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে হতে হবে।
গত সোমবার রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা সব পক্ষকে বিশেষ করে মিত্র দেশ তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যুদ্ধবিরতি ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সম্ভাব্য সবকিছু করার জন্য।
১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনও কারো স্বীকৃতি পায় নি। কিন্তু এ অঞ্চলটি নিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি পর এখন আবার সংঘাত চলছে। খবর আল জাজিরার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন