যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও তাতে রাজি হয়নি ভ্যাটিকান সিটি। ভ্যাটিকানের বিশপ দপ্তর জানিয়েছে, ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস নির্বাচনের আগে কোনও রাজনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন না।
ক্যাথলিক গির্জা ও চীনের ব্যাপারে মাইক পম্পেওর মন্তব্যের পর ভ্যাটিকানের এই পদক্ষেপ কূটনৈতিক বিতর্কে আরেকটি মাত্রা যুক্ত করেছে। গত মাসের শুরুর দিকে এক নিবন্ধে মাইক পম্পেও বলেছিলেন, বিশপ নিয়োগে চীনের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে ক্যাথলিক গির্জা ‘নৈতিক কর্তৃত্ব’ ঝুঁকিতে ফেলছে। আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মাইক পম্পেও ওই ইস্যুকে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছে ভ্যাটিকান।
রক্ষণশীল ক্যাথলিক ভোটার-সহ রক্ষণশীল ধর্মীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমর্থন পান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ভোটারদের অনেকেই মনে করেন, পোপ ফ্রান্সিস একটু বেশিই উদার।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, চীনে অনেক ক্যাথলিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এবং চীনের সরকারি ক্যাথলিক সমিতির পরিবর্তে পোপের প্রতি আনুগত্যের জন্য আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এসব সত্ত্বেও চীনা বিশপদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু মতামত রাখার জন্য ২০১৮ সালে চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ভ্যাটিকান।
ওই সময় পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন এই চুক্তি ‘অতীতের ক্ষতগুলি সারিয়ে তুলবে’ এবং চীনে ক্যাথলিকদের পুরোপুরি একতাবদ্ধ করবে। কিছু ক্যাথলিকের (যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিকরাও রয়েছেন) বিরোধিতা সত্ত্বেও আগামী মাসে ওই চুক্তি নবায়ন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার ইতালির রোমে এক ভাষণে পম্পেও চীনে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ভ্যাটিকানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ চীনেই সবচেয়ে বেশি।” সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন