বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিশ্বনাথে ইমাম কর্তৃক কিশোরীকে ধর্ষণ ইমাম পলাতক, গ্রেফতার-২

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৪৭ পিএম

সিলেটের বিশ্বনাথে এক সহজ-সরল প্রকৃতির কিশোরীকে মসজিদের ইমাম কর্তৃক ধর্ষণ করা হয়েছে। ইমামের নাম মো: রুহুল আমিন শাহার (৩৫), সে সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার চন্দ্রপুর গ্রামের আফজাল উদ্দিনের পুত্র। মঙ্গলবার ধর্ষণের খবর প্রকাশ হওয়ার পর ইমাম পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে। ঘটনার পর ইমামকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে পুলিশ গ্রামের দুই মাতব্বরকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া দু’জনের নাম ইসলামপুর গ্রামের মখদ্দছ আলী (৬৩) ও সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার চন্দ্রপুর গ্রামের মাওলানা আরিফ উদ্দিনের ছেলে মাহফুজ বীন আরিফ (১৯)। এ ঘটনার পর ধষিতা কিশোরীর বড় বোন দিলারা বেগম বাদি হয়ে ইমাম রুহুল আমিন শাহাকে প্রধান আসামি করে আরো ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিশ^নাথ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং-০১/২০২০ইং)।

এজহার সুত্রে জানাগেছে, ইমাম রুহুল আমিন দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ওই গ্রামের আব্দুস শহীদের বাড়িতে লজিং থেকে জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া মাদরাসায় লেখা পড়া শেষে ইসলামপুর জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। কই বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতের ওই কিশোরী। সেই সুবাদে কিশোরীর প্রতি ইমামের কুনজর পড়ে যায়। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে আব্দুস শহীদের বাড়ির পূর্বপাশে আধাপাকা একটি ঘরে অর্থাৎ (যে ঘরে ইমাম থাকেন) কিশোরী ও ইমামকে পাওয়া যায়। কিশোরী জানায়, তার সাথে ইমামের একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ইমামকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে এলাকার কিছু বখাটে লোক। পুলিশ ধর্ষণে সহায়তাকারি দুজনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এলাকার সচেতন মহলের দাবি, এ ঘটনায় নিরিহ কোন লোক যাহাতে হয়রানির স্বীকার না হয় সে জন্য তারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ^নাথ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শামিম মুসা ইনকিলাবকে জানান, ধর্ষণকারিকে সহায়তা করায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack Ali ১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৯ পিএম says : 0
This bloody Imam should be killed by throwing stone in front every body and it should be on television.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন