শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে গুলাগুলি, আহত-১০

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ৫:২২ পিএম

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে রাতভর দফায় দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

লাঠি ও ছুরিকাঘাতে দুই গ্রুপের মাঝে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে ।

কুতুপালং রেজিষ্ট্যাড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরসা গ্রুপের নেতা মৌলভী আবু আনাস ও মো. রফিকের নেত্বতে মুন্না গ্রুপের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় গুলাগুলি ও হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় কুতুপালং ই-ব্লকের ১০/১৫ টি শেড ভাংচুর করে।

কুতুপালং ২ নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি সিরাজুল মোস্তফা বলেন, দু,গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় চুরি ও লাঠির আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুই জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ও অন্যান্যদের কুতুপালং এনজিওদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।এ সময় রোহিঙ্গারা এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। এর পর রাত সাড়ে ১২ টায় কুতুপালং ক্যাম্পের খেলার মাঠ এলাকায় দু,গ্রুপের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।

কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পৌছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সোমবার দুপুরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা একটি সিএনজিসহ ড্রাইভারকে দিনদুপুরে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা দাবী করে।

এসময় সিএনজি অফিসে অবস্থানকারী সিএনজি সমিতির নেতা শাহজানকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্থানীয় লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

রোহিঙ্গারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বলে সিএনজি সমিতির সভাপতি মুক্তার চৌধুরী জানিয়েছেন।

এব্যাপারে উখিয়া থানার নবাগত ওসি আহমেদ সন্জুর মোরশেদ বলেন, ঘটনাটির ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack Ali ১ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৪০ পিএম says : 0
O Rohynga cowards people why don't you fight Mayanmar who expel you from your home land also they mercilessly killed - raped your mother and daughter, burned your home, we gave you shelter and you are committing crime.. If you do that we will forcefully push back to Mayanmar.. You don't follow the Law of Allah as such you people are tortured by the Mayanmar Government.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন