শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আট বছর আগে ব্যবসায়ী মৃত বাবলুর নামে শ্রম আইনে মামলা

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ৭:০৯ পিএম

ব্যবসায়ী বাবলুর মৃত্যু হয়েছে আট বছর আগে ২০১১ সালে। মৃত্যুর আট বছর পর তাকে শ্রম আইনের মামলায় আসামী করা হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান প্ররিদর্শন অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেছে। এনিয়ে আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যও সৃষ্টি হয়েছে। 

বিষয়টি আদালতের নজরে এলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। সম্প্রতি একই আদালতে আট বছরের এক শিশুকে আসামী করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান মামলা করে। মৃত বাবলু নামে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম আদালতে গতবছর দায়ের করা ফৌজদারি মামলা নম্বর- ২৩০/২০১৯। আসামী মৃত ব্যাক্তি এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ গোলক চন্দ্র বিশ্বাস মামলার অভিযোগকারী কলকারখানা ও প্রতিষ্টান পরিদর্শন অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের শ্রম পরিদর্শক আজহারুল ইসলামকে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেন।

মামলার আইনজীবী সাইফুর রহমান খান রানা জানান, মামলার আসামী নগরীর সাহেব বাজার জরিপট্টির স্মৃতি স্বরুপ বাস্ত্রালয়ের মালিক মো: বাবলু ২০১১ সালের ২ নভেম্বর মারা যান। কিন্তু মামলার অভিযোগকারী সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দোকান খোলা রাখার অভিযোগ এনে বাবলুর বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেন তাতে দোকান খোলা রাখার তারিখ হিসাবে উল্লেখ রয়েছে ২০১৯ সালের ৫,১২, ও ১৯ জুলাই এবং ১১ অক্টোবর।

মামলা দায়েরের আট বছর আগে আসামী মৃত ব্যাক্তির কারনে মামলা চালিয়ে যাওয়ার কোন আইনগত প্রয়োজনীয়তা না থাকায় গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালত আসামীকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি এবং মামলা নথিজাতের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শুক্রবার ছুটির দিন দোকান বন্ধ না রাখার অভিযোগ এনে রাজশাহী পবা উপজেলার পূর্ব পুঠিয়াপাড়া গ্রামের জনাব আলীর আট বছরের ছেলে জুবাইর আহমেদকে আমামী করে মামলা করেছে কারখানা ও প্রতিষ্টান পরিদর্শন অধিদপ্তর। মামলাটি বর্তমানে রাজশাহী শ্রম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কলকারখানা ও প্রতিষ্টান পরিদর্শন অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপ-মহা-পরিচালক মাহফুজুর রহমান ভুইয়া বলেন, আট বছরের শিশুকে আসামী করার ঘটনাটি দোকান মালিকের অবহেলার কারনে হয়েছে। কারন দোকানের সাইনবোর্ডে এই শিশুর নাম লেখা হয়েছিল। সেই নামেই নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। কিন্তু মালিক কোন জবাব না দেয়ার কারনেই ওই শিশু মামলার আসামী হয়ে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন