গ্রাম কিংবা শহর, সবখানেই আজও নরপশুদের বিকৃত লালসার শিকারে পরিণত হচ্ছে নারীরা। অতিসম্প্রতি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় মাঝরাতে এক প্রতিবন্ধী উপজাতি তরুণীকে ৯ জন ডাকাত গণধর্ষণ করেছে। ঠিক তার দু’দিনের মাথায় সিলেটের এমসি কলেজে অর্ধডজন শিক্ষার্থী স্বামীকে আটকে তার স্ত্রীকে পাশবিক অত্যাচারে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করেছে। তাছাড়া, রাজধানীতে অসুস্থ স্বামীর জন্য রক্তের সন্ধানে থাকা এক মধ্যবয়সী গৃহবধূও হয়েছেন ধর্ষণের শিকার। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষরুপী শয়তানদের ঘৃণ্য লালসার থাবা থেকে রক্ষা পায় না ৫ বছর বয়সী শিশুও! কিছু ঘটনায় মামলা হলেও স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তথাকথিত সালিশে বসে প্রভাবশালী ধর্ষক কিংবা তার পরিবার থেকে সামান্য কিছু ক্ষতিপূরণ নিয়ে সম্ভ্রম হারানো মেয়ে বা নারীর পবিত্র মর্যাদার মূল্য চুকিয়ে দেয়! এভাবে আর কতদিন? ধর্ষকদের কঠিন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদাহরণ স্থাপিত না হলে কেবল নীতিবাক্যে তাদের বোধোদয় হবে না। তাই, ধর্ষণের মামলার বিচারকাজ সর্বোচ্চ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার পাশাপাশি নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি করছি।
আবু ফারুক
বান্দরবান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন