একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ভারতে ক্ষোভ বাড়ছে। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলায় গণধর্ষণের শিকার এক নারীর মৃত্যুর পর এবার সেই রাজ্যেই একই ঘটনায় আরেক দলিত নারীর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী লখনউ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে বলরামপুরে বুধবার ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যান ২২ বছর বয়সী ওই দলিত নারী। ‘আমাকে বাঁচাও, আমি মরতে চাই না’, ধর্ষণের শিকার হয়ে বাড়ি ফেরার পর পরিবারের লোকের কাছে এ রকমই আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় তার।
বলরামপুরের পুলিশ সুপার রঞ্জন ভার্মা জানান, ‘থানায় ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পরিবারের লোক জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাত অবধি বাড়ি ফেরেনি তাদের মেয়ে। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই তরুণী গভীর রাতে রিকশা করে বাড়ি ফেরে। তখন তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু বুধবার স্থানান্তরিত করার সময় পথেই মৃত্যু হয়।’
এই ঘটনার জেরে দু’জন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় মেয়েটির পরিবার। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ‘ধর্ষণের পর তরুণীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে তারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে রিকশায় চাপিয়ে ওই নারীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।’ ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তিনি। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্যের যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে এক হাত নিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে ভারতের রাজ্যের হাথরস জেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যান এক দলিত নারী। ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে উচ্চবর্ণের ব্যক্তিদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হন ১৯ বছরের তরুণী। ধর্ষণের পর তার জিহŸা কেটে নেয়াসহ বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো হয় ওই তরুণীর উপর। এ ঘটনায় ভারত জুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ পায়। সূত্র : ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন