নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। গত ৩ সেপ্টেম্বর আদালত ডা. সাবরিনার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চায়। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমোদন পায় সাবরিনার নিয়ন্ত্রণাধীন জেকেজি হেলথকেয়ার। কিন্তু সরকারি অনুমতি নিয়ে তারা নমুনা সংগ্রহের নামে মানুষের কাছে করোনার নেগেটিভ-পজিটিভ জাল সনদ বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন। এ অভিযোগে সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের এ মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন