শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কনডেম সেলে মিন্নিসহ ছয় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৩২ এএম

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। বর্তমানে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে এই ছয় বন্দি ব্যতীত অন্য কোনো কারাবন্দি নেই বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন। কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে আছেন। মিন্নি ব্যতীত বরগুনার কারাগারের নারী কনডেম সেলে অন্য কোনো বন্দি নেই। আর পাঁচজন পুরুষ আসামিকেও পুরুষ কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এদিকে, সকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মিন্নি কান্নাকাটি করেছেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন।

কারা সূত্র জানায়, রায় ঘোষণার পর ছয় আসামিকে বিকেল তিনটার দিকে কারাগারে নেওয়া হয়। এরপর তাদের কারাগারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য নির্ধারিত কনডেম সেলে রাখা হয়। রায় শোনার পর থেকে মিন্নি চুপচাপ ছিলেন। কারাগারের নেওয়ার পর স্বজনদের দেখা পাননি। কারও সঙ্গে তেমন কথাও বলেননি। রাতে খাবার-দাবার দেওয়া হলে সামান্য খেয়েছেন।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিদের বিষয়ে জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পাঁচজন পুরুষ আসামিকে পুরুষ কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই পাঁচ পুরুষ ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে নেই অন্য কোনো বন্দি। তিনি বলেন, মিন্নিকে রাখা হয়েছে নারী ওয়ার্ডের কনডেম সেলে। মিন্নি ব্যতীত বরগুনার কারাগারের নারী কনডেম সেলেও অন্য কোনো বন্দি নেই।

জেলা কারাগারের তত্ত¡াবধায়ক বলেন, মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারের যে বিশেষ কক্ষে রাখা হয় সেটাকে কনডেম সেল বলা হয়। কনডেম সেলের বন্দিরা কখনো সেল থেকে বাইরে বের হতে পারেন না। এসব বন্দিরা মাসে একবার তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এছাড়াও সপ্তাহে একবার তারা ফোনে তাদের স্বজনদের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কথা বলতে পারেন। মিন্নিসহ এই মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে দেশের অন্য কোনো কারাগারে স্থানান্তরের পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে জেল সুপার বলেন, এ বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। আপাতত এই আসামিদের উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এদিকে, সকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় কান্নাকাটি করেছেন বলে জানান মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন এ কথা বলেন। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে মিন্নি আমার ও আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে। সে খুব কান্নাকাটি করেছে। কারাগারে সে ভালো নেই। তাকে একা একটি নির্জনকক্ষে রাখা হয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, ‘আমার মেয়ে নির্দোষ। একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে এই মামলায় ফাঁসিয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহলকে আড়াল করার জন্যই এটা করা হয়েছে। আমি রায়ের কপি পাওয়া আবেদন করেছি। এটি হাতে পেলে দ্রæত উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে। আমি আশাবাদী আমার মেয়ে উচ্চ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।’ মোজাম্মেল হোসেন আরও বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ ভিডিওতে দেখেছে আমার মেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার স্বামী রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। আহত রিফাতকে একাই হাসপাতালে নিয়ে গেছে। অথচ এই মামলায় আমার মেয়েকে ফাঁসানো হলো।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Tuhin Biswas ২ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৩৩ এএম says : 0
সমাজে খুঁজলে এমন হাজারো মিন্নী পাওয়া যাবে। আসলে পশ্চিমা সংস্কৃতি গুলো দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে।
Total Reply(0)
Saiful Islam Apon ২ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৩৪ এএম says : 0
স্বামী খুন, প্রেমিক ক্রসফায়ার, নিজের ফাঁসি একটি অবৈধ ত্রিভূজ প্রেমের নৃশংস পরিসমাপ্তি। আবারো প্রমানিত, চরিত্রহীনা নারীর রুপ-সৌন্দর্য দোধারি তলোয়ারের মতো, যার আঘাতে নারী নিজেও মরে, অন্যকেও মারে, তৈরী হয় নারীত্বের কলঙ্কিত উদাহরণ। বুঝদার দের জন্য ইশারাই যথেষ্ট.!
Total Reply(0)
Mohammad Anwerul Islam ২ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৩৬ এএম says : 0
এই ঘটনা থেকে পুরো দেশবাসী শিক্ষা নেওয়া উচিৎ, বিশেষ করে অবিভাবকদের
Total Reply(0)
Iftekhar Russel ২ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৩৭ এএম says : 0
দূত ফাঁসি কার্যকর করা হলে, এধরণের অপরাধ করতে কেও সাহস পাবে না। দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে তরুন প্রজন্মের কাছে।
Total Reply(0)
Shirin Siraj ২ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৩৭ এএম says : 0
প্রতিটি মানুষকেই নিজ কর্মফল ভোগ করতে হবে
Total Reply(0)
Sadman Sakib ২ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৩৯ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ। এই রায়ে আমরা সন্তোষজনক। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে রিফাতের মা বাবার অবস্থার কথা চিন্তা করলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।আশা করি রিফাতের আত্মা শান্তি পাবে ও তার বাবা মা ও স্বস্থির নিঃশ্বাস নিবে আজকের এই রায়ে।
Total Reply(0)
Adhora Rahman ২ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৪০ এএম says : 0
বাংলাদেশে এটা একটা যুগান্তকারী রায়। এ পর্যন্ত কোন মেয়ের মামলায় ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয় নাই। এখন দেখা যাক এটা কার্যকর হয় কি না। তবে আমার মতে অবশ্যই কার্যকর হওয়া উচিত। অপরাধী কে লিঙ্গভেদে দেখার সুযোগ নেই । মেয়ে বলে সাজা কমানো উচিতই না। সে তো ক্রাইম মেয়ে বলে কম করে নাই। ক্রাইম তো ঠিকি করেছে।
Total Reply(0)
রাজু ২ অক্টোবর, ২০২০, ৮:২৯ এএম says : 0
মা বাবা জন্য কাল সাপ এই মেয়ে,দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি নাই।অতিশত তারা তাড়ি ফাঁশি দেওয়া হক,যদি সৌদিআরবেের মত আইন হত তাহলে প্রকাশে খোলা মাঠে ফাঁশি দিত,কেন দেরি করা হচ্ছে রায় কার্যকর করতে।
Total Reply(0)
রাজু ২ অক্টোবর, ২০২০, ৮:২৯ এএম says : 0
মা বাবা জন্য কাল সাপ এই মেয়ে,দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি নাই।অতিশত তারা তাড়ি ফাঁশি দেওয়া হক,যদি সৌদিআরবেের মত আইন হত তাহলে প্রকাশে খোলা মাঠে ফাঁশি দিত,কেন দেরি করা হচ্ছে রায় কার্যকর করতে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন