বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কেপিএম এমডির অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২০ পিএম | আপডেট : ৪:২৩ পিএম, ২ অক্টোবর, ২০২০

দেশের রাষ্ট্রয়াত্ত একমাত্র কাগজ কল 'কর্ণফুলী পেপার মিলস লিঃ’ (কেপিএম) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম. এম. এ কাদেরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ও চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান।

বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভিতে গত ২৫ই সেপ্টেম্বর কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক ও চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি’কে মাদকাসক্ত আখ্যায়িত করে ‘তাদের (দুই চেয়ারম্যান) বাড়িতে মাদকের আখড়া বসানো হয়’ মন্তব্য করায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এমডির বিরুদ্ধে কাপ্তাই প্রেস ক্লাবে শুক্রবার (২ অক্টবর) সকালে সংবাদিক সম্মেলন করেন তারা।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক। বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি। উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা আ.লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. হানিফ, সাবেক রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী রুবায়েত আক্তার সহ আরও অনেকে।

কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান সংসদে বলেছেন, কেপিএম মিলকে বাঁচানো হবে। গত অর্থ বছরে ৫৪কোটি টাকাও বরাদ্ধ দেওয়া হয় কেপিএমকে। অথচ কেপিএম এমডি বলেছেন মিলসটি বন্ধ হয়ে যাবে। মিলসটি বন্ধ করতে নানান পায়তারাও করছেন তিনি। বন্ধ করেছেন প্রতিষ্ঠানের পাল্প মেশিন সহ নানান যন্ত্রাংশ। সরকারের ভাবমূর্ত্তি ক্ষুন্ন করতে সর্বশেষ যমুনা টিভির প্রতিবেদনে জনপ্রতিনিধিদের নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ঔদ্যোত্বপূর্ণ ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন তার প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই কেপিএম বাঁচুক, আবারও ঘুরে দাঁড়াক। এ জন্য যা করণীয় সব করবো।

চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি বলেন, কেপিএম চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে অবস্থিত। সকল প্রতিষ্ঠানকে সরকারি রাজস্ব প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও গত কয়েক বছর যাবত তিনি প্রায় ১৪লক্ষ টাকার টেক্স বকেয়া করেছেন। ফলে ইউনিয়নের কার্যক্রম প্রায় বন্ধের পথে। টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে মাদক সহ নানান কুৎসা রটনা করে মিডিয়াতে বক্তব্য দেন তিনি। তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। আমাদের মানহানি করার কারণে প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করবো।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম এম এ কাদের জানান, আমি এ ধরণের মন্তব্য দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করিনি। আমি বলেছি সন্ধ্যার পর চন্দ্রঘোনার বিভিন্ন বাসায় মাদকের আড্ডা বসানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন