গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ঘাঘট নদীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বাড়িঘর রাস্তাঘাট কোমর পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় পানিবন্দী লোকজন বের হতে পারছেন না। খুব কষ্টে রান্না করে খাচ্ছেন তারা। এদিকে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় নিমজ্জিত আমন ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।এখনো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ ইউনিয়নসহ ঘাঘট নদীর পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী মানুষজন সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিকে ভাঙ্গন কবলিত বেড়িবাঁধটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পানির ¯্রােত ঠেকানোর জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা শত-শত মানুষের সহযোগিতা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বালির বস্তা ফেলছেন। এছাড়া যাতে বাঁধটির অন্য স্থানে নতুন করে ভাঙ্গতে না পারে সেদিকে নজর রাখছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ঘাঘট নদীর বন্যায় এক হাজার ৫’শ পরিবার পানিবন্দী হয়েছেন। নতুন করে পানিবন্দী পরিবারের তথ্য আসছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, এক হাজার ৫’শ হেক্টর আমন ক্ষেত ও ৯০ হেক্টর সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নতুন করে আরো আমন ক্ষেত নিমজ্জিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান জানান, বেড়ি বাঁধটির ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাঁধ এলাকায় সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন