ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নে মাদকাসক্ত নাতির হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বৃদ্ধ দাদা-দাদী। এমনকি গৃহহীন একই পরিবারের চাচা-চাচীসহ অন্য সদস্যরা। সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল পর্যন্ত নিজ বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি মজিদ মজুমদারের ওয়ারিশগণ। এ ঘটনায় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বিচার পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগিরা।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মুন্সীরহাটের উত্তর আনন্দপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ির বৃদ্ধ আবদুল মজিদ মজুমদার ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে আপন নাতী সম্রাট আকবর মজুমদার পাপন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকালে তার ছোট চাচা ব্যাংকে কর্মরত আবদুল কাইয়ুম চট্টগ্রাম থেকে বাড়িত আসলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে বিকেলে পাপন ও তার মা লুৎফুন নাহার সাইফুন ফেনী থেকে ১৫-২০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ভাড়া এনে বৃদ্ধ দাদা-দাদী ও চাচাকে এক প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে অপমান ও অপদস্থ করে। তখন বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
প্রতিবেশীরা জানান, পাপন ও তার মা ঢাকা থেকে লকডাউনের আগে বাড়িত আসেন। বাড়িতে আসার পর পাপন কিছু বখাটে ছেলের সাথে বাজে আড্ডা দিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন এবং এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিলে তার কিছুই করার নেই বলে জানান। দুইদিন পর ২৭ সেপ্টেম্বর বৃদ্ধ আবদুল মজিদ মজুমদার বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় নাতি পাপন ও তার মায়ের বিরুদ্ধে জিডি করেন।
এ ব্যাপারে পাপন বলেন, দাদা-দাদীকে নির্যাতন করে বের করে দেয়ার বিষয় মিথ্যা বানোয়াট। তবে দালানঘর নির্মাণে তার পিতার ২৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চাচারা এক টাকাও খরচ করেনি। সে ঘরের জন্য আইনগতভাবে লড়বেন বলেও জানান। মুন্সীরহাট ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি নুরুল আমিন ভূঁইয়া জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। সামাজিকভাবে বিচার করা হবে। ফুলগাজী থানার ওসি কুতুব উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় জিডি হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন