বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

শারজায় রানের ফোয়ারা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

আগের চার ইনিংসে রান ছাড়িয়েছে ২০০ রান। আজও হলো তাই। এবারের আইপিএলে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেন বোলারদের মৃত্যুক‚প। পেসারদের বল এক চুল নড়ে না। স্পিনারদের এক ডিগ্রিও ঘুরে না। বল ব্যাটে আসে কী দারুণ গতিতে। আর চারপাশে ছোট্ট বাউন্ডারি তো আছেই।

কোনো মাঠের এক পাশের বাউন্ডারি একটু ছোট থাকতে পারে। শারজায় সব পাশেই ছোট। ব্যাটসম্যানরা শুধু লাইন-লেংথে চোখ রাখতে পারলেই হলো। রান আসবেই। পরশু রাতে দিল্লি ক্যাপিটালস ২২৮ রান করল এভাবেই। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ২১০ রানে থামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংস।

কলকাতার হয়ে বড় ভুলটা করছেন অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। ব্যাটিং স্বর্গে আগ্রাসী ব্যাটসম্যানে ঠাসা দিল্লিকে পাঠান ব্যাটিংয়ে। ওপেনিং জুটিতে দ্রæত কিছু রান তুলে দিয়ে শেখর ধাওয়ান দ্রæত আউট হন। কিন্তু পৃথ্বী শ অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্রæত রান তোলেন। ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরে ৪১ বলে ৬৬ রান করেন শ। দলের স্কোর তখন ১৩তম ওভারে ১২৯ রান।
তখনো মরুর বুকে দিল্লির ঝড় শুরু হয়নি। শ আউট হওয়ায় যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অধিনায়ক আইয়ার। ইনিংসের শেষে তাÐব চালান আরেক তরুণ ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্তকে নিয়ে। মাত্র ৩৮ বল খেলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৮৮ রান করেন আইয়ার। ১৭ বলে ৩৮ যোগ করেন পন্ত। চোখের পলকে দিল্লিকে ২২৮ রানে নিয়ে যান এই দুই তরুণ।

এই রান তাড়া করতে নেমে মাঝপথে খেই হারিয়ে বসে কলকাতা। রান রেটের চাপে এলোমেলো শট খেলে মাঝের ওভারে বেশি উইকেট হারিয়ে বসে কার্তিকেরা। ১৪তম ওভারেই ওপরের সারির ৬ ব্যাটসম্যান আউট। শেষের ওভার কাজে লাগানোর জন্য বাকি থাকলেন শুধুই এউইন মরগান। শেষ পর্যন্ত তিনি একাই টানলেন কলকাতার ইনিংস। শেষের ওভারগুলো কাজে লাগিয়ে ১৮ বলে ৪৪ রান করেন। শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকলে হয়তো দিল্লির জয় ছিনিয়েও নিতে পারতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে চলে গেল দিল্লি।

এদিকে গতকালও এই শারজায় রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছে আইপিএল। কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো ফিফটিতে বড় পুঁজি জড়ো গড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ২০৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল। তবে রানচাপায় পিষ্ট হয়ে ৫ উইকেট হারানো হায়দরাবাদ থেমেছে ১৭৪ রানে। মুম্বাইয়ের জয়টি ৩৪ রানের।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান জড়ো করে মুম্বাই। যদিও ইনিংসের শুরুতেই সাজঘরে ফিরতে হয় অধিনায়ক রোহিতকে। ৫ বলে ৬ রান করে অধিনায়ক বিদায় নিলেও দলের বিপর্যয় ঘটতে দেননি আরেক ওপেনার ডি কক। স‚র্যকুমার যাদবের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দল শুরুর বিপদ কাটিয়ে ওঠে। যদিও প্রত্যাশা অনুযায়ী দীর্ঘায়িত হয়নি তার ইনিংস। ৬টি চার হাঁকানো স‚র্যকুমার ১৮ বলে ২৭ রান করে বিদায় নেন। সিদ্ধার্থ কাউলের উপর চড়াও হলেও তার বলেই উইকেট হারান। এরপর ঈশান কিষাণকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন ডি কক। সাজঘরে ফেরার আগে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান প‚র্ণ করেন অর্ধ-শতক। ৩৯ বলের মোকাবেলায় ৬৭ রান করা ডি কক হাঁকান চারটি করে চার ও ছক্কা। তার বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরতে হয় কিষাণকেও। তার আগে ২৩ বলে ৩১ রান করেন ১টি চার ও ২টি ছক্কার সহায়তায়। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া ও কাইরন পোলার্ডের ব্যাটে চড়ে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় মুম্বাই। ১৯ বলে ২৮ রান করে শেষ ওভারে বিদায় নেন হার্দিক, হাঁকিয়েছেন ২টি চার ও ২টি ছক্কা। তবে হার্দিকের বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই ইনিংসের শেষ ৪ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান (৪ বলে ২০ রান) ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া। ১৩ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ৩টি ছক্কা হাঁকানো পোলার্ড। হায়দরাবাদের পক্ষে স›দ্বীপ শর্মা ও সিদ্ধার্থ কাউল ২টি করে উইকেট শিকার করেন, যদিও দুইজনই ছিলেন খরুচে। সিদ্ধার্থ একাই বিলি করেন ৬৪ রান। আঁটসাঁট বোলিংয়ে একটি উইকেট পেয়েছেন রশিদ খান।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন