নাটোরের লালপুরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পদ্মানদীতে বাঁধা নৌকায় নিয়ে চারজন যুবক মিলে (রফিক ছদ্দ নাম) ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে বলৎকারের পরে মোবাইলে ভিডিও ধারনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা মানিক আলী বাদি হয়ে লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।ঘটনাটি ঘটেছে লালপুর উপজেলার দুুড়দুড়িয়া ইউপির নওয়াপাড়া গ্রামে।
রবিবার ৪ অক্টোবর দুপুরে লালপুর থানায় এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শিশুটির বাবা মানিক আলী জানান,‘গত ২৭ তারিখে উপজেলার নওয়াপাড়া পানসিপাড়া গ্রামে তার ছেলে (১০) বন্ধুদের সঙ্গে বিকেলে বেগমতলার দক্ষিন পার্শ্বে পদ্মানদীর ধারে খেলতে যায় এ সময় একই এলাকার মুস্তাকের ছেলে মাহাফুজ, রান্টুর ছেলে রিমন আলী, আব্দুর রহিমের ছেলে সেলিম, রেজাউলের ছেলে শিশির তার ছেলেকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে নৌকার উপরে নিয়ে পালাক্রমে বলৎকার করে।’ তিনি আরো জানান, ‘ এসময় বলৎকারের ভিডিও শিশির নামের একজনের মোবাইলে ধারণ করে। শেষে শিশুটির প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।।পরে সন্ধ্যায় ছেলে বাড়ি এসে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি এলাকার নেতৃত্বদয়কে বিষয়টি জানায় এবং পরে ৩০তারিখে এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করি। তার ছেলেকে বলৎকারের ভিডিও উদ্ধার করলেও বিষয়টি মিমাংশার জন্য কালক্ষেপন করেন।
পরে ২ তারিখে লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলেকে ভর্তি করা হয়।পরে স্থানীয় ভাবে বিচার না পেয়ে রবিবার ৪তারিখে লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘তিনি ঐ ভিডিও টি দেখেছেন।’
লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলৎকারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপরে লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন