চকরিয়ায় কয়েক দফা ভাঙন ও অস্বাভাবিকভাবে সামুদ্রিক জোয়ারের পানির তোড়ে উপক‚লীয় কোনাখালী-বাঘগুজারা-বদরখালী সড়কটি অধিকাংশ নদীগর্ভে বিলীন। এছাড়াও সড়ক ভেঙে হাজারো খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল ও যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তিন ইউনিয়নের লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী।
জানা যায়, বন্যায় গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি ডেমুশিয়া ও কোনাখালীর একাধিক পয়েন্টে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে বিশাল অংশ মাতামুহুরী নদীতে বিলীন হতে চলেছে। প্রায় ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের অন্তত এক কিলোমিটার পর্যন্ত অভ্যান্তরীণ এ সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন জনসাধারণ। বিগত ৫ বছর ধরে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাছাড়া পুরো সড়কের একাধিক স্থানে বড় বড় খানা-খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে যাত্রীদের। বিভিন্নস্থানে সড়ক একেবারে সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। খানা-খন্দকের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে সম্পূর্ণ যান চলাচল। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উপজেলার উপক‚লীয় কোনাখালী, ডেমুশিয়া ও বদরখালীসহ তিন ইউনিয়নের অন্তত লক্ষাধিক জনসাধারণ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, দিন দিন সড়কটি চলাচল অযোগ্য হয়ে বেহালদশায় পরিণত হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দ্রæত সময়ে সংস্কার করতে সচেতনমহল সংশ্লিষ্ট দফতরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ, মাতামুহুরী নদীর দুই তীরের বিভিন্ন পয়েন্ট প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে দোকানপাট ও মাছের ঘের নির্মাণ করায় নদীতে পানির প্রবাহ বাঁধার মুখে পড়ে।
কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, কোনাখালীর বাঘগুজারা-বদরখালী সড়কটি মূলত ইউনিয়নের রক্ষাকবচ। এটি বর্তমানে যানবাহন চলাচলের সড়ক হলেও একসময় ছিল নদীর বেড়িবাঁধ। বিকল্প চলাচলের সুবিধার্থে এটিকে সড়কে রূপান্তর করে এলজিইডি বিভগ। কিন্তু প্রতিবছর ভয়াবহ বন্যা এবং সামুদ্রিক অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রভাবে সড়কটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
চকরিয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয় কর্মকর্তা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল জানান, নদীতে তলিয়ে যাওয়া ও বন্যায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যাওয়া সড়কটি টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাঘগুজারা সেতু থেকে বদরখালী পর্যন্ত সড়কটি দ্রæত মেরামতের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন